প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মে ২০২১ইং।। ২৭শে বৈশাখ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ(গ্রীস্মকাল)। ২৭ রমজান ১৪৪২ হিজরী
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : জুনের শুরুতে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশের শীর্ষ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ভাইরোলজিস্টরা।
কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, দু’টি কারণে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর তৃতীয় তরঙ্গের ধাক্কা এড়ানো সম্ভব নয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক এই উপাচার্য বলেন, “প্রথমত, কোভিডের ভারতীয় ধরনটি ইতোমধ্যে দেশে শনাক্ত করা হয়েছে। তাও এমন সময়ে যখন ফেরি, পরিবহন এবং শপিংমলে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে পাগলের মতো সবাই ভীড় করছে।”
“দ্বিতীয়ত, ভ্যাকসিন সংকটের কারণে দেশে টিকাদান কর্মসূচিও সন্তোষজনক নয়,” তিনি আরও বলেন।
তবে এর আগেও, উপদেষ্টা কমিটি কোভিডের ভারতীয় ধরনগুলো বিবেচনা করে সরকারকে দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিষয়ে তাদের পূর্বাভাস জানিয়েছিল।
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, “গত সপ্তাহে সরকারকে দেওয়া এক চিঠিতে আমরা পরামর্শ দিয়েছিলাম যে কোনো মূল্যে ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. তারেক হুসেন বলেন, “যে হারে ভারতীয় ধরনগুলো ছড়িয়ে পড়েছে তা করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনগুলোর তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি। এ সময়ে ফেরি, লঞ্চ টার্মিনাল এবং শপিংমলগুলোতে অনিয়ন্ত্রিত জনসমাবেশ কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গের কারণ হয়ে উঠবে। সমাবেশ যদি ঈদুল ফিতর অবধি অব্যাহত থাকে, তাহলে এর প্রভাব দুই সপ্তাহ পর অর্থাৎ জুনের শুরুতে দৃশ্যমান হবে।”
এদিকে ৭ মে পর্যন্ত ৩৪ লাখ জন ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই গ্রহণ করেছে। যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ। আর ৫৮ দশমিক ২ লাখ জনেরও কম মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে। যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)এর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, একটি দেশে কোনো রোগের বিরুদ্ধে জনগণের শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য দেশটির মোট জনসংখ্যার অন্তত ৭০ শতাংশকে টিকা দেওয়া প্রয়োজন।
ডা. তারেক বলেন, “যেহেতু আমাদের টিকা দেওয়ার আদর্শ কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গ মোকাবেলায় আইসিইউগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করে আবারও হাসপাতালগুলো প্রস্তুত করা উচিত।”
সাধারণ মানুষ যদি স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে উদাসীন থাকে তবে নতুন করে সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও।
রবিবার (৯ মে) স্থানীয় প্রশাসন জরুরি সেবা ব্যবস্থার যানবাহনকে নদী পার হওয়ার বিকল্প উপায় ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করে, দিনের বেলা অ্যাম্বুলেন্স পরিসেবাসহ স্থগিত করেছে ফেরি পরিবহন ব্যবস্থা।
“রাজনৈতিক সমাবেশ ও সহিংসতার মাধ্যমে জনসমাগম করে এখন ভারত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে” উল্লেখ করে রোগতত্ত্ব, রোগ বিশেষজ্ঞ ও গবেষণা সংস্থা (আইইডিসিআর) এর উপদেষ্টা ডা. মোহাম্মদ মুশতাক হোসেন বলেন, “জনসমাবেশ, ভীড় এবং নতুন ধরনের ভাইরাস একত্রে আসার কারণে ভাইরাসের মিউটেশনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই নতুন করে সংক্রমণের বৃদ্ধি এড়াতে জনসমাবেশকে নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য।”
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor