গজারিয়ায় সিটি গ্রুপের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল -১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান

0
35

প্রকাশিত: মঙ্গলবার,০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ::বিক্রমপুর খবর:: অনলাইন ডেস্ক :

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নে ১০৮ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি।গজারিয়ায় আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে ভোগ্যপণ্য খাতের পরিচিত প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ।

গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কার্যালয়ে হোসেন্দি অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের হাতে প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স তুলে দেওয়া হয়। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স তুলে দেন সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের হাতে। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেবে বেজা। অনুষ্ঠানে হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শম্পা রহমানসহ বেজার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের মেয়ে শম্পা রহমান হোসেন্দী ইকোনমিক জোনের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।অনুষ্ঠানে শম্পা রহমানের হাতে প্রাক যোগ্যতা সনদ তুলে দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

এর আগে ২০১৭ সালের মে মাসে সিটি গ্রুপকে প্রথম অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রাক-যোগ্যতার সনদ দেয় বেজা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসীতে ৭৮ একর জমিতে এ অঞ্চল স্থাপন করা হচ্ছে। এতে প্রাথমিক বিনিয়োগ হচ্ছে দেড় হাজার কোটি টাকা।

 সেখানে অটো রাইস মিল,ডাল মিল ও এডিবল অয়েল উৎপাদন কারখানা স্থাপন করছে সিটি গ্রুপ।

হোসেন্দী ইকোনমিক জোনের চেয়ারম্যান শম্পা রহমান বলেন, হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চলে সিমেন্ট, সল্ট অ্যান্ড কেমিক্যালস,সিরামিক পণ্য, শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার প্ল্যান্টসহ মোট ১০টি শিল্প ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন তারা।

“১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।”

মেঘনা নদীর তীরে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় নৌপথ ও সড়কপথে যোগাযোগের বিশেষ সুবিধা থাকছে হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চলে।রাজধানী থেকে ২৫ কিলোমিটার ও  চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন,অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নের জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। চীন,থাইল্যান্ড ও জাপানের বিভিন্ন বিনিয়োগকারী ইতোমধ্যে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানানো হয়। এরই মধ্যে সাতটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। বেজার আওতায় স্থাপিত ভূমি ব্যাংক থেকে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী ভূমি সহজে বরাদ্দ নিয়ে শিল্প-কারখানা স্থাপন করতে পারছেন।

তিনি আরো জানান,বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইউনিট বিনিয়োগকারীদের গ্যাস,বিদ্যুৎ ও পানিসহ সব ধরনের সুবিধা দেওয়ার জন্য সরকারি বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। সিটি গ্রুপ এর আগেও তাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করেছে।তিনি আশা প্রকাশ করেন আগের মতো প্রতিষ্ঠানটি তাদের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়,হোসেন্দী ইকোনমিক জোনের উদ্যোক্তাদের শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্প-করখানা গড়ে তুলতে উদ্যোক্তারা পরিকল্পনা করছেন।বেন তিনি।

সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন,হোসেন্দী ইকোনমিক জোনের চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে সিটি গ্রুপের সঙ্গে কাজ করছেন। বিনিযোগকারী ও শিল্পদ্যোক্তা হিসাবে নারীদের অগ্রাধিকার দেবেন তিনি।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন