প্রকাশিত:মঙ্গলবার,২৯ জানুয়ারি ২০১৯।
বিক্রমপুর খবর::অনলাইন ডেস্ক: এর আগে ১৬ বছর বয়সীদের জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রম করলেও এবার ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই কার্যক্রমের আওতায় প্রায় আড়াই কোটি কিশোর-কিশোরীর তথ্য সংগ্রহের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। চলতি বছর দেশের এসব তরুণ নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হতে পারে। ভোটার না হলেও তাদের ছবি, আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ সংগ্রহ করে ইসির তথ্য সংরক্ষণকারী সার্ভারে আপলোড করা হবে। এদেরকে পেপার লেমিনেটেড এনআইডি দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে শূন্য থেকে সব বয়সীদের অস্থায়ী এনআইডি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির।তবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে বয়স ১৮ হলেই।
নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন এ বিষয়ে বলেন, চলতি বছর ১০ বছর থেকে বয়স থেকে নাগরিকদের নিবন্ধন করে অস্থায়ী লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এনআইডি দেওয়া হলেও তারা ভোটার তালিকায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হবেন বয়স ১৮ হলেই।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন,২০১০ এর ৫(২)অনুযায়ী-ভোটার নয়, এমন নাগরিককে নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্ত সাপেক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে পারবে কমিশন। এ আইনের বলেই কমিশন এ উদ্যোগ নিয়েছে।
২০১৫ সালের ২৫ জুলাই থেকে প্রথমবারের মতো ১৮ বছরের কম বয়সীদের তথ্য নেয় কমিশন। সে সময় ১৬ বছর বয়সীরাও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.সাইদুল ইসলাম বলেন, কিশোর-কিশোরীদের এনআইডি দেয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা আছে। অন্যদিকে, এনআইডির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তথ্য সংগ্রহের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। আইরিশ ও দশ আঙ্গুলর ছাপ দেয়ার মেশিন সব উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসেই রয়েছে। বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই লেখাপড়া করে। তাই বাড়ি বাড়ি না গিয়ে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন ফরম পাঠানো হবে। সেখানে শিক্ষকরা তা পূরণ করে দিবেন। আর যারা পড়াশুনা করে না, তাদের নির্দিষ্ট দিন-তারিখ ঠিক করে উপজেলা/ থানা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে নিবন্ধন করানো হবে। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিবন্ধন কার্যক্রম শেষে তাদের হাতে যে পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হবে তার মেয়াদ থাকবে ১০ বছর।
ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন বলেন,জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন (সংশোধন) আইন-২০১৩ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে ভোটার ছাড়াও অন্য নাগরিকদের নিবন্ধনের মাধ্যমে পরিচয়পত্র দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এতদিন কারিগরি সীমাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন কারণে এদের নিবন্ধনের উদ্যোগ নেয়া যায়নি। এনআইডি পাওয়া কিশোর-কিশোরীরা ১৮ বছর পূর্ণ করলে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। তখন তারা স্মার্টকার্ড পাবে।
এই পরিকল্পনার কারণ হিসাবে তিনি বলেন,অনেক সময় স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের নাম ও বয়স পরবর্তীতে এনআইডিতে দেয়া নাম ও বয়সের সঙ্গে মেলে না। এসব বিষয় মাথায় রেখে ইসি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।তিনি আরো বলেন, স্কুলের শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজে লাগানো হবে। কেননা, প্রাথমিক বিদ্যালয়েই অধিকাংশ দশ বছর বয়সী এবং হাইস্কুলে দশের বেশি বয়সীদের তথ্য চলে আসবে। এজন্য স্কুলে নিবন্ধন ফরম পাঠিয়ে দিলে শিক্ষকদের মাধ্যমেই পূরণ করিয়ে নেওয়া যাবে।