পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

0
27

প্রকাশিত: সোমবার,১৫এপ্রিল ২০১৯:

বিক্রমপুর খবর: অনলাইন ডেস্ক:  ময়মনসিংহ মেডিকেলে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী প্রায় তিন দশক পর পুরোনো বন্ধুদের দেখে আবেগে আপ্লুত হলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। আর ঘটনাটা ঘটল ময়মনসিংহে নিজের সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাসে। এত বছর পর ফিরে বন্ধু, সহপাঠী আর শিক্ষকদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন তিনি।


গতকাল (১৪এপ্রিল) বাংলা নববর্ষের দিন মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একসময়ের সহপাঠীদের কাছে পেয়ে মেলে ধরেন স্মৃতির ঝাঁপি। পাশাপাশি বসে আড্ডা দেন। ফিরে যান ১৯৯৫ সাল থেকে এই মেডিকেল কলেজে শুরু করা ছাত্রজীবনের দিনগুলোতে। আর বর্তমান-সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সুধীজনদের সমাবেশে বাংলায় বলেন, ‘ভালো চিকিৎসক হতে হলে আগে একটা ভালো মানুষ হইতে হবে ভাই। মাঠ ভালো না হলে যা-ই রোপি (রোপণ করি) না কেন,কিছু উঠবে না সেখানে।’

গতকাল রবিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে লোটে থেসারিং হেলিকাপ্টারযোগে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে যান। বর্তমান শিক্ষার্থীসহ সবার উদ্দেশে বক্তব্য দেন। পরে বন্ধু-সহপাঠীদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান। রাষ্ট্রীয় সফরে আসা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর জন্য কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকলেও তিনি বন্ধুদের সঙ্গে আন্তরিক পরিবেশেই সময় কাটিয়েছেন।

ক্যাম্পাসে পা রেখে ছাত্র জীবনের এমন সব ফেলে আসা সময় নিশ্চয়ই নাড়া দিয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে যাওয়া ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংকে।

আঠারো বছরে পাল্টেছে অনেক কিছু। নতুন নতুন দালানকোঠা হয়েছে,বদলেছে কলেজের চালচিত্র,কিন্তু সহপাঠীরা তো আগের মতোই। কেউ এখন এ শহরের বড় ডাক্তার,কেউ ওই মেডিকেলের শিক্ষক। তবে ফেলে যাওয়া এই কলেজে শেরিং যখন এলেন তখন তিনি একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে রাষ্ট্রীয় সফরে।

প্রাক্তন এই শিক্ষাথীর আগমন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষাথীদের চাওয়ায় সাড়া দিয়ে আধো বাংলা-ইংরেজি মিশেলে বক্তৃতা করলেন শেরিং যা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনেছেন উপস্থিত সকলেই।বক্তৃতায় অভিজ্ঞতা বিনিময় করলেন নিজের ফেলে যাওয়া সময়ের।

লোটে শেরিং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ২৮তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। লোটে শেরিং ১৯৯১ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তিনি এমবিবিএস কোর্স শেষ করে আরও একটি প্রশিক্ষণ নেন ময়মনসিংহে। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছিলেন। সেই স্মৃতি থেকেই এবার তাঁর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে সফরে আসা।

সহপাঠীদের সঙ্গে বেঞ্চে বসে আড্ডায় মাতেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকেই এমবিবিএস ও এফসিপিএস পাস করে দেশে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। ২০১৩ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়া ডিএনটিকে জনগণের কাছে জনপ্রিয় করতে তার ভূমিকা  ছিল উল্লেখযোগ্য। ভুটান সরকারের দেওয়া বৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশে পড়াশোনা করতে এসেছিলেন লোটে শেরিং।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন