প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০ ইং ।। ৮ বৈশাখ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। ২৬ শাবান ১৪৪১
বিক্রমপুর খবর :সিরাজদিখান প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক জব্দকৃত সাড়ে ৬ মেট্রিকটন পেঁয়াজ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। গত শনিবার সিরাজদিখান উপজেলা সহকারী (ভূমি) আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদকে নিলাম কমিটির আহবায়ক করে জব্দকৃত পেঁয়াজ ৪১ টাকা কেজিদদরে নির্ধারণ করে নিলামে তোলা হয়। জব্দকৃত মালামল নিলামে বিক্রি করার জন্য প্রকাশে ঘোষণা কিংবা মাইকিং করার নিয়ম থাকলেও কোন প্রকার জানান দেয়া ছাড়াই জব্দকৃত মালামাল নিলামে তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫/২০দিন আগে উপজেলার পূর্ব রাজদিয়া গ্রামের মোঃ আলাউদ্দিনের ছেলে মো. শামীম, মালেক বেপারীর ছেলে মো. মেজবাউদ্দিন ও একই গ্রামের আব্দুল খালেক বেপারীর ছেলে রুহুল আমিন বেপারী রমজান মাসকে সামনে রেখে পিয়াঁজ মজুদ করে। রাতের আঁধারে বিভিন্ন জেলা থেকে ৬ হাজার ৫শ ১২ কেজি পেঁয়াজ কিনে এনে পূর্ব রাজদিয়া গ্রামের টেংগুরিয়া পাড়া মোড় সংলগ্ন একটি পোষাক কারখানায় এগুলো মজুদ করে। পরে উপজেলা প্রশাসন খবর পেয়ে মজুদকৃত পেঁয়াজ জব্দ করেন এবং পোষাক কারখানার মালিক ও মজুদদার রুহুল আমিন বেপারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বাকী দুই মজুদদার ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, ঘটনার পর থেকে মজুদদার সিন্ডিকেটের লোকজন জব্দকৃত পেঁয়াজ ১০-১২ জনকে ক্রেতা সাজিয়ে নিলাম বিক্রি করা পেঁয়াজ কিনে রাখে। আরো তথ্যে জানা যায়, অপরদিকে ঘটনার পর দিনরাত মজুদদাতা তিনজনকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে যাতায়াত করতে দেখা যায়।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আহমেদ সাব্রি সাজ্জাদ জানান, শুক্রবার সিরাজদিখান বাজারে মাইকিং করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টায় ওপেন নিলামে উঠানো হয়। এ সময় ২০ হাজার টাকা করে জামানত দিয়ে ১১ জন নিলাম ডাকে অংশনেয়। সর্বোচ্চ ৪১ টাকা কেজি দর ডাকেন টেঙ্গুরিয়া পাড়ার শামিম। তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এব্যপারে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার জানান, জব্দকৃত পেঁয়াজগুলো প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। জানান দেয়া ছাড়া পেঁয়াজ নিলামে বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংবাদিকরাকি পেঁয়াজের ব্যবসা করে? যেটা হওয়ার নিয়ম মাফিক হয়েছে। ১১ জন বিডার ছিল এর চেয়ে বেশী কি থাকবে। যার পেঁয়াচ সেকি কিনতে পারে নাকি। অন্য লোকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। যাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে তাদের বলে দেওয়া হয়েছে তারা যেন পেঁয়াজগুলো মজুদ না করে সাথে সাথে বাজারে ছেড়ে দেয়।