সহজেই ভার্চ্যুয়াল আদালতে জামিন শুনানী করা যায়

0
53
এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম

এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশিত : বুধবার, ১৩ মে ২০২০ ইং ।। ৩০ বৈশাখ  ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।। ১৯ রমজান ১৪৪১

বিক্রমপুর খবর : সহজেই ভার্চ্যুয়াল আদালতে জামিন শুনানী করা যায়। দেখবেন বাড়ীর ছোট শিশুটি অনলাইনে খুটিনাটি সব মূহুত্বেই আয়ত্ব করে ফেলছে। আপনিও পারবেন, পারব না এ চিন্তা বাদ দিয়ে এন্ডোয়েড মোবাইল নিন। ইন্টারনেট সংযোগ দিন আর একটি ইমেল আইডি খুলুন। আপনি পারবেন, এরপর পূর্বের ন্যায় জামিন আবেদন লিখুন প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি দিয়ে আইনজীবীর স্বাক্ষর দিন তার পর আবেদনটির একটি ছবি তুলন বা স্ক্যনার দিয়ে ইমেজ আকার করুন, সঙ্গে আপনি ফিরিস্তি হিসেবে যে সকল কাগজপত্র দাখিল করতে চান তাও ছবি তুলুন বা স্ক্যানার দিয়ে ইমেজ আকারে রাখুন। এখন আপনি আদালত কর্তৃক দেয়া ইমেইলে আপনার আবেদন সহ অন্যান্য ডকুমেন্ট সেন্ট বা প্রেরন করুন। আপনাকে ফিরতি মেইলে সময় জানিয়ে দেয়া হবে নিদিষ্ট সময়ে আপনি ড্রেস পরে শুনানীর জন্য প্রস্তুত থাকুন আপনাকে দেয়া ম্যাসেজের লড়রহ সরপৎড়ংড়ভঃ ঃবধসং সববঃরহম ক্লিক করে শুনানীতে অংশ নিন। আদালত শুধু ভার্চ্যুয়ালি জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি হবে। যোগাযোগের জন্য প্রত্যেক আদালতের একটি ই-মেইল আইডি ও নিজস্ব ফোন নম্বর থাকবে, যা প্রত্যেক আইনজীবী সমিতিকে সরবরাহ করা হয়েছে। জামিন শুনানির জন্য জামিনের দরখাস্ত, দালিলিক কাগজাদি এবং ওকালতনামা আদালতের নির্ধারিত ই-মেইল আইডিতে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে জামিনের আবেদন দাখিল করতে হবে।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি আদালত চলাকালে অনুষ্ঠিত হবে। শুনানি গ্রহণ, শুনানির তারিখ ও সময় অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যবহৃত হবে ও কজলিস্টের পোর্টালে থাকবে, যা মোবাইল ও ই-মেইলের মাধ্যমে উভয়পক্ষের কৌশলীকে অবহিত করা হয়।

 

গৃহীত আবেদনের ওপর একটি ভিডিও কনফারেন্সিং কেস নং (ভিসি কেস নং) ব্যবহৃত হয় এবং পরবর্তী সব প্রয়োজনে এই নম্বর ব্যবহৃত হয়। আবেদন গৃহীত হওয়ার পর আবেদনকারী অথবা তার আইনজীবী আদালতে ও প্রতিপক্ষের ই-মেইলে ২৪ ঘণ্টা আগে ইমেজ আকারে ১০ এমবির মধ্যে পাঠানো হবে।

আদালত কর্তৃক নির্ধারিত ভিডিও কনফারেন্সিং প্লাটফর্ম জুম, গুগল মিট বা মাইক্রোসফট টিম ব্যবহার করে উভয়পক্ষের আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেবেন। শুনানির ১৫ মিনিট আগে আইনজীবী ও প্রয়োজনে তার সহায়ক আইনজীবী আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেবেন। ভিডিও কন্ট্রোলরুম থেকে ১৫ মিনিট ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে।

শুনানিকালে স্ক্রিন শেয়ার অপশন থেকে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট শেয়ার করতে হবে এবং মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংযুক্তি আকারে আদালতের ই-মেইলে পাঠাতে হবে, যার একটি কপি প্রতিপক্ষের আাইনজীবীকেও দিতে হবে। শুনানির ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে জানানো সম্ভব না হলে ই-মেইলে ও খুদে বার্তার মাধ্যমে উভয়পক্ষের আইনজীবীকে জানানো হয়।

জামিন হলে বন্ড ও রিলিজ অর্ডার পূরণ করে স্ক্যানকপি আদালতের ই-মেইলে পাঠাতে হবে। বিচারক বেইল বন্ড ও রিলিজ অর্ডার এক কপি প্রিন্ট করে অফিসিয়াল ফাইলে সংগ্রহ করবেন। আর এক কপি জেল সুপারের অফিসিয়াল মেইলে পাঠাবেন। আদালতের আদেশে সংক্ষুব্ধ হলে যে কোনো পক্ষ ফটো সার্টিফাইং কপি সংগ্রহ করে উচ্চতর আদালতে যেতে পারবেন।

শুনানিকালে বিচারক ও আইনজীবীকে প্রচলিত কোর্ট ড্রেস পড়তে হবে, তবে গাউন না পরলেও চলবে। ভার্চ্যুয়াল শুনানিকালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকতে হবে। কেউ শুনানিকালে বিচ্ছিন্ন হলে তাকে পুনরায় সংযুক্ত করা হবে। সব ধরনের কোলাহল পরিত্যাগ করতে হবে। অন্য সব মোবাইল ফোনের সাউন্ড মিউট রাখতে হবে। কারিগরি সমস্যার কারণে কোনো পক্ষের আইনজীবী যুক্ত হতে না পারলে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের জন্য পরবর্তীতে আবার তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। মঙ্গলবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির অফিস সেক্রেটারী এডভোকেট এইচ.এম মাসুম ভার্চ্যুয়াল আদালতে জামিন শুনানী শেষে জানান, ২১ দফা ‘বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনায়’ নি¤œ আদালতের জামিন শুনানি করা হয়।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন