প্রকাশিত: সোমবার,২ নভেম্বর ২০২০ইং ।। ১৭ই কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)।। ১৫ই রবিউল আউয়াল,১৪৪২ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : সংবাদদাতা লৌহজং : লৌহজংয়ে সাড়ে সাত টন মা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। এসব ইলিশের আনুমানিক মূল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা।
সোমবার রাত আটটা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে লৌহজংয়ের কলমা ইউনিয়নের ডহরি গ্রামের সেন্টু সর্দারের বাড়ি হতে মা ইলিশের এই বিশাল চালনটি জব্দ করা হয়।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মু. রাশেদুজ্জামান অভিযান শেষে সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেন্টু সর্দারের বাড়িতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় সেন্টু সর্দারের একটি ঘর তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। ঘরের তালা ভেঙ্গে ভেতরে সারি সারি ককশিটের বাক্স দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিটি বাক্স স্কচটেপ দিয়ে আটকানো। একটি ককশিট খুলে দেখা যায় ভেতরে মা ইলিশ বরফের নিচে মজুদ করা হয়েছে। মোট ৫৯টি বড় আকারের ককশিটের বাক্সে এসব ইলিশ রাখা ছিল। প্রতিটি বাক্সে এক শ’র বেশি মাছ পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে ওজন হবে সাড়ে সাত টনের মতো। টাকার অঙ্কে ইলিশের মূল্য হবে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। তবে এ অভিযানের সময় মজুদকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
সরকার ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নবেম্বর পর্যন্ত নদ-নদীতে মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করে। যেখান থেকে এসব ইলিশ উদ্ধার করা হয়েছে সেটা কোন জেলে বাড়ি নয়। এরা মৌসুমি ইলিশ ব্যবসায়ী। এ সময় তারা অসৎ জেলেদের কাছ থেকে অল্পদামে ইলিশ কিনে ঘরটিতে মজুদ করেছিল। দুদিন পরে নিষিদ্ধের সময় পার হলেই ইলিশ এখান থেকে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করা হতো।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, উদ্ধারকৃত ইলিশ লৌহজংয়ের প্রতিটি এতিম খানায় বিলি করেছি। যেহেতু প্রচুর ইলিশ, তাই অন্যান্য উপজেলার মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’