রোজার শেষে খুশির ঈদ।

0
69
রোজার শেষে খুশির ঈদ।

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০১৯।২৩জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ২সাওয়াল ১৪৪০ হিজরি।

বিক্রমপুর খবর: খতীব আব্দুচ্ছালাম বাগেরহাটী:রমজান মাসের রোজাগুলো আল্লাহ পাকের নির্দেশ অনুযায়ী পালনের জন্য এবং শয়তান ও কুরিপুর সাথে বিজয় আনন্দে কিছু খেয়ে রোজা ভঙ্গ করে খুশির উৎসব ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়।

দুনিয়ার প্রত্যেক জাতিরই একাধিক আনন্দ উৎসবের দিন থাকে। মুসলমানদের তেমনি আনন্দ উৎসবের দিন হচ্ছে দুটি। দিন দুটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা।

যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে আনন্দ উপভোগে যেন ত্রুটি না হয় সেজন্য এ দুটি দিনে রোজা রাখার উপর ইসলামে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

পবিত্র রমজানের সিয়াম সাধনার পর মুসলিম জাহানে আনন্দের বন্যা বইয়ে দিতে আসে ঈদুল ফিতর। যারা রমজান মাসে সিয়াম বা রোজা পালন করেছেন শুধু তাদের জন্যই খুশির উৎসব ঈদুল ফিতর।

ঈদুল ফিতর হচ্ছে রমজানের রোজা ভাঙ্গার উৎসব। এ উৎসব শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে উদযাপন করা হয়। ফিতর শব্দের অর্থ হলো রোজার অবসান।

এ উৎসব বা আনন্দ এজন্য নয় যে, এখন আর রোজা রাখতে হবে না। রোজা রাখার কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া গেল এখন আর কষ্ট করতে হবে না।

বরং এ উৎসব বা আনন্দের অর্থ হলো আমরা দীর্ঘ একটি মাস আল্লাহ পাকের বড় একটা হুকুম রোজা পালন করতে পেরেছি এটাই আমাদের জন্য বড় আনন্দের বা খুশির বিষয়।

ঈদের নামাজকে শোকরের নামাজ বলা হয়। তাই   যারা রোজাদার নয়, তাদের খুশির ঈদ বা আনন্দ উৎসব  হলো রোজাদারদের দেখা দেখি খুশির ঈদ বা আনন্দ উৎসব। আসল খুশির ঈদ হলো রোজাদারের জন্য।

এ উৎসব হলো মাদ্রাসা বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের উৎসবের মতো উৎসব। এ কারণেই এ উৎসবটি সবার জন্যে নয়।

হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-রোজাদারগণ ঈদের মাঠ থেকে ক্ষমা প্রাপ্ত হয়ে বাড়ী ফিরে আসে।

আল্লাহ তা’আলা যেন আমাদের সকলের পাপসমূহকে নেকীর দ্বারা পরিবর্তন করে দেন। -আমীন।

—– খতীব আব্দুচ্ছালাম বাগেরহাটী,পিলখানা,ঢাকা।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন