পদ্মা সেতুতে বসলো ২৮তম স্প্যান, দৃশ্যমান ৪২০০ মিটার

0
29
পদ্মা সেতুতে বসলো ২৮তম স্প্যান, দৃশ্যমান ৪২০০ মিটার

প্রকাশিত :শনিবার,  ১১ এপ্রিল ২০২০ ইং ।। ২৮ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।

বিক্রমপুর খবর : স্টাফ রিপোর্টার লৌহজং  মাওয়া থেকে : করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই পদ্মা সেতুর ২১ ও ২০ নম্বর পিলারে বসানো হলো ২৮তম স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৪ হাজার ২০০ মিটার দৃশ্যমান হলো। আজ শনিবার (১১ এপ্রিল) সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারে ‘৪-বি’ স্প্যানটি বসানো হয়।বাকি থাকল আর মাত্র ১৩টি স্প্যান। এ স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ আরেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। পিলার দুটির অবস্থান মুন্সিগঞ্জের মা ওয়া ও মাদারীপুরের শিবচরে।

শুক্রবার সকালের “৪বি” নম্বর স্প্যানটি মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ড থেকে রওনা হয় ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজ “তিয়ান ই”। প্রায় ৩২ শ’ টন ওজনের ১৫০ মিটার দীর্ঘ এই স্প্যান পাজা করে তুলে নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নোঙ্গর করেছে।

বাংলাদেশ পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী (সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে স্প্যানটি মাওয়ার সীমান্তবর্তী এবং সেতুটির মাঝামাঝি সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারে বসানো হয়।

তিনি বলেন, সেখানে লিফটিং ফ্রেম (স্প্যানকে ঝুলন্ত রাখার যন্ত্র) সেট করা হয়ে গেছে আগেই। পিলারের উপর সেট করা হয়ে গেছে বেয়ারিং। তিনি জানান, এই স্প্যান বসানোর পর জাজিরার অংশে আর মাত্র ২টি স্প্যান বাকী থাকবে। ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারে “৫এ” ও “৫বি” নম্বর স্প্যান বাকী থাকবে। এই অংশটিতে ফেরি চলাচলের চ্যানেল থাকায় বিলম্ব হচ্ছে। সর্বশেষ ২৬ নম্বর পিলারটি সম্পন্ন হওয়ায় এখানেও শিঘ্রই স্প্যান বসবে।

গত ২৮ মার্চ সেতুর ২৭তম স্প্যান বসানো হয়। এরপর ৩১ মার্চ ২৬ নম্বর পিলার বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর সব পিলার সম্পন্ন হয়েগেছে। এছাড়া চলতি মাসেই ২৯তম স্প্যানও বসানোর কথা রয়েছে। সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৯টি স্প্যান এখন মাওয়ায়। যার ২৭টি স্প্যান পিলারের ওপর বসানো হয়ে গেছে। অপর ২টি স্প্যান চীন থেকে আগামী ২০ এপ্রিল রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

আজ ২৮তমটি বসানোর পর বাকী থাকছে মাত্র ১৩টি স্প্যান। সংশোধিত সিডিউল অনুযায়ী আগামী নবেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান বসে যাওয়ার কথা আছে। তবে দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা মনে করছেন নির্ধারিত সময়ের আগেই আগস্টের মধ্যে পিলারের ওপর সব স্প্যান বসে যাবে। তবে নির্ধারিত সময়ে দ্বিতল সেতুর ওপরে থাকবে সড়কপথ আর নিচে থাকবে রেলপথ। যা এখন ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে।

দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, পুরো প্রকল্পটিই আইসোলেটেট। তাই এখানকার দেশী বিদেশী কর্মীরা অনেকটাই নিরাপদ। এখানে নিরাপদ দূরত্ব কজায়ে রেখে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না।

বাইরে কাউকেই এখানে এখন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ভেতরে করোনার স্বাস্থ্যবিধি সবই মেনে চলা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের আরোও জানান, ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর ৪২টি পিলারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এসব পিলারে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বসানো বাকি আছে ১৪টি স্প্যান। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ২৯ নম্বর স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন