প্রকাশিত:শুক্রবার,২৫ জানুয়ারি ২০১৯।
বিক্রমপুর খবর::অনলাইন ডেস্ক: আল্লাহ তাআলা দিন সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হচ্ছে জুমআর দিন। সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাপূর্ণ দিন জুমআর দিন। আল্লাহ তাআলার নিকট হতে মানুষ সবচেয়ে বেশি নিয়ামত লাভ করেছেন এ দিনেই।
আদি মানব হযরত আদম আলাইহিস সালামকে এ দিনেই সৃষ্টি করেছেন। আর সৃষ্টির অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণেই শুক্রবার ফজিলতপূর্ণ। তাই বান্দার পক্ষ থেকে শুক্রবারের নামাজ আল্লাহ তাআলার দরবারে অনেক মূল্যবান।
আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলেন যে,তার প্রিয় বান্দারা সপ্তাহে অন্তত একদিন সবাই একত্রিত হয়ে তাঁর ইবাদাত করুন। তাই তিনি কুরআনে এ দিনের নামাজের ব্যাপারে ঘোষণা করলেন,‘হে মুমিনগণ! জুমআর দিনে যখন নামাজের জন্য আজান দেয়া হয়,তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। (সুরা জুমআহ : আয়াত ৯)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস থেকে জানা যায়,সপ্তাহের দিন গুলোর মধ্যে জুম`আর দিন সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। এ দিন হযরত আদম (আ) কে সৃজন করা হয় এবং এদিনই তাকে বেহেশতে স্থান দেয়া হয়,আবার এদিনেই তাকে বেহেশত থেকে বের করে দুনিয়ায় পাঠানো হয় এবং এদিনেই কেয়ামত সংঘটিত হবে।
এদিন অধিক ফজিলতের দিন। এ দিনে তোমরা অধিক পরিমাণে দুরূদ পাঠ কর। তোমরা যখন দুরূদ পড়বে তখনই তা আমার সামনে পেশ করা হবে। আমি সাথে সাথেই এর প্রতি উত্তর দিই।
পবিত্র এই দিনটির ফজর থেকে মাগরীবের মধ্যবর্তী সময়ে সূরা ইয়াছিন, সূরা হুদ, সূরা কাহাফ এবং সূরা দোখান তেলাওয়াত করলে বিশেষ ফজিলত পাওয়া যায় বলে হাদিস শরিফের বর্ণিত আছে।
নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন সূরা হুদ পাঠ করো। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে তার জন্য এক জুমআর থেকে অন্য জুমআ পর্যন্ত বিশেষ নূরের বাতি জ্বালানো হবে। তিবরানি শরিফে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমআর দিনে বা রাতে সূরা দোখান তেলাওয়াত করে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতে একটা বিশেষ মহল বানাবেন।
জুমআর রাতে বা দিনে যে ব্যক্তি ঈমান নিয়ে মারা যায়; আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি দেন।’(তিরমিজি)
হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি বিনা ওজরে তিন জুমআ তরক করবে,আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (নাউজুবিল্লাহ)
আল্লাহ তাআলা দিন সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হচ্ছে এই জুমআর দিন। এ দিনের মর্যাদা অনেক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আরেকটি হাদিস তুলে ধরা হলো-
হজরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কল্যাণময় দিন যার উপরে সূর্য উদিত হয়েছে তা হলো জুমআর দিন। সে দিনে হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে, সেদিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং জান্নাত থেকে বের করা (পৃথিবীতে পাঠানো) হয়েছে আবার এ জুমআর দিনেই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে।’(মুসলিম)
সুতরাং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য এক অপূর্ব নিয়ামাত হলো জুমআর দিন। এ দিনের প্রতিটি মুহূর্তের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত।
আল্লাহ তাআলা জুমআর দিনের গুরুত্ব উপলব্দি করে উত্তম দিনে উত্তম আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।