চীনের কাছে ৫০ বছরের পানি ব্যবস্থাপনার মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছে বাংলাদেশ

0
2
চীনের কাছে ৫০ বছরের পানি ব্যবস্থাপনার মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : শুক্রবার ২৮ মার্চ, ২০২৫খ্রিষ্টাব্দ।। ১৪ই চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বসন্ত কাল)।। ২৭ রমজান, ১৪৪৬ হিজরী।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের শত শত বিস্তৃত নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য চীন থেকে পঞ্চাশ বছরের মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) বেইজিংয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে চীনের পানি সম্পদ মন্ত্রী লি গোইয়িং-এর সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এই আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ইউনূস চীনের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে বলেন, চীন পানি সমস্যার সমাধানে বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়েছে।

চীনা মন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের যে সমস্যা রয়েছে, আমাদেরও সেই একই সমস্যা। যদি আপনারা আপনাদের অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেন, তাহলে আমরা খুশি হব।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ অঞ্চল। আমাদের দেশ শত শত নদী দিয়ে ঘেরা। পানি আমাদের জীবন দেয়, তবে কখনো কখনো এটি শত্রুতে পরিণত হয়। এখন জনসংখ্যা বহুগুণে বেড়ে যাওয়ায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, নদী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কোনোভাবে যেন আমাদের পরিবেশের ক্ষতি না হয়।’

চীনকে পানি ব্যবস্থাপনার মাস্টার হিসেবে অভিহিত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে এবং তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পানি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের চাহিদার ফলে নদীর তীরবর্তী ভূমিগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, একই চাহিদা ভারতের উজান অঞ্চলেও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া পলি জমার কারণে নদীগুলোর মাঝখানে নতুন ভূমি তৈরি হচ্ছে, যা কখনো কখনো নদীগুলোর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে এবং তাদের মৃত্যু ঘটায়

বাংলাদেশের জন্য পানি ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, চীনও একই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ জনগণ বন্যাপ্রবণ এলাকায় বসবাস করে, যা দেশটির জন্য পানি ব্যবস্থাপনাকে জটিল করে তুলেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট শি চীনের জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছেন, যা দেশটি পানি ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে ব্যবহার করছে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়নে আমরা আপনাদের সহায়তা চাই।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সমস্যা শুধু একটি নির্দিষ্ট নদীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পুরো ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত।

তিনি বিশেষভাবে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা ও ঢাকার চারপাশের দূষিত পানি পরিষ্কারের বিষয়ে সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে চীনে চার দিনের সফরে রয়েছেন। সেখানে তিনি চীনা নেতৃবৃন্দ ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

চীন সফরে দেশটির সরকার ও চীনা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।

ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৩০টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে, যা প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশের উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানানোর পর এসেছে।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত বুধবার (২৬ মার্চ) চীন পৌঁছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..           

‘‘আমাদের বিক্রমপুর– আমাদের খবর।
আমাদের
সাথেই থাকুন– বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor
email – bikrampurkhobor@gmail.com

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন