প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০ ইং।। ৯ই আষাঢ় ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক :
বার ঈদুল আযহার সময়ে কোরবানির বাড়তি চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে গরু আনবে না সরকার। অন্যান্য বছর কোরবানির আগে সীমা’ন্তে বি’ট খাটালের মাধ্যমে গরু কেনাবেচা হয়। এবার ঈদের আগে সীমা’ন্তে ‘বিট খাটালের’ মাধ্যমে গরু আনার অনুমতি দেয়নি সরকার।
সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয় অনলাইনে আয়োজিত চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় এ ত’থ্য জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননি’রাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আনসার ও সীমা’ন্ত) মো. সাহেদ আলী। তিনি বলেন, এবার দেশীয় খামারিরা যাতে গবাদিপশুর ভালো দাম পান, তা নিশ্চি’ত করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তারা।
সভায় জানানো হয়, আগামী বুধবার কোরবানির পশুর চামড়ার দর নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া সভায় সিদ্ধা’ন্ত হয়, কোরবানির চামড়া সংর’ক্ষণে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন উদ্যোগে মসজিদের ইমাম, মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী, চামড়া ছ’ড়া’নো ও সংর’ক্ষণে জ’ড়িতদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। করোনার পরিস্থি’তিতে স্বাস্থ্য সুর’ক্ষা’র মাধ্যমে কোরবানি দেওয়া এবং চামড়া সংরক্ষণে ত’থ্য মন্ত্রণালয় ও লেদার বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা কা’র্যক্র’ম চা’লাবে।
বি’ট খাটাল হলো একটি খোয়াড়ের মতো স্থান। যেখানে ভারত থেকে আনা গরু জ’ড়ো করা হয়। এরপর শুল্ক কর্মকর্তারা মালিকানাবিহীন দেখিয়ে গরুগুলোকে বাজেয়া’প্ত ঘো’ষণা করেন। এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে বাজেয়া’প্ত করার জন্য কাগজে–কলমে সংক্ষি’প্ত বিচার দেখানো হয়। এরপর ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বা’জেয়া’প্ত’ গরু মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে গরু ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। বৈ’ধভাবে এটাই গরু আনার ব্যবস্থা। তবে ভারতের কাছে এ ব্যবস্থার কোনো স্বীকৃ’তি নেই। আগে বছরে ১৫ থেকে ২০ লাখ গরু এভাবে এসেছে। ২০১৪ সালের মে মাসে ভারতে নরেন্দ্র মোদির সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সীমা’ন্তে গরু–বাণিজ্য অনেকটাই কমে গেছে। এর ফলে দেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে পশু পালন বেশ বে’ড়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, বিগত কয়েক বছরে পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশে এক কোটি ১০ লাখের মতো পশু কোরবানি দেওয়া হয়। এর মধ্যে গরু-মহিষ থাকে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ। দেশীয় খামারিদের গরু-মহিষ দিয়েই চাহিদা মে’টানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে এবার পশু কোরবানি কম হতে পারে বলে আশ’ঙ্কা করা হচ্ছে।
সভায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থি’তিতে চামড়া শিল্পকে ঘু’রে দাঁ’ড়াতে ট্যানারি মালিক, আড়াতদার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ খাত সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় ফরিয়া, মৌসুমী ও সাধারণ ক্রেতাদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। এমনকি শহর থেকে গ্রামে যারা গেছেন তাদের এ সুবিধা দিলে এগিয়ে আসবেন। সবাই উৎসাহিত হয়ে চামড়া কিনবেন। চামড়া কেনাবেচায় লাভ করার সুযোগ দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, চামড়ার সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর রাখা বড় চ্যা’লে’ঞ্জ। এ জন্য আকর্ষণীয় দর নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি চামড়া সংর’ক্ষণ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দে’শনা দেন। যাতে গত বছরের মতো পরিস্থি’তি তৈরি না হয়।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..