প্রকাশিত:রবিবার,১১ আগস্ট ২০১৯ ইং ||২৭শে শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর:অনলাইন ডেস্ক: কুরবানী ইব্রাহীম (আঃ) এর ইতিহাসই স্বরণ করিয়ে দেয়। কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহ ভিন্ন সমস্ত কিছুর প্রেমকে দূরীভূত করাই আসল উদ্দেশ্যে। কুরবানীর মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে, আমাদের সব কিছুই একমাত্র আল্লাহর জন্য।
আল্লাহ তা’আলা হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর প্রেমের পরীক্ষা করেছিলেন। সে কি তাঁর সন্তান ইসমাঈলকে বেশি ভাল বাসেন না তাঁর স্রষ্টা আল্লাহকে।
পার্থিব বিষয়াদি দিয়ে আল্লাহ পাক মানুষকে পরীক্ষা করেন। বান্দা ঐ সমস্তের মোহে তাঁকে ভুলে যায় না তাঁর প্রেমের নিকট ঐ সমস্ত কিছুকে বলী দেয়।
যদি বান্দার উপর আল্লাহর প্রেম প্রধান্য পায় তবে সে তাঁর সমস্ত ধন সম্পদকে আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য আল্লাহর নির্দেশিত পথে প্রফুল্ল চিত্তে অকাতরে ব্যয় করে।
যে আল্লাহর নির্দেশের পরিপন্থী চলে স্বীয় নফসের আদেশ অনুযায়ী কাজ করে তবেই ধরে নেয়া হবে সে তার নফসকে বা প্রবৃত্তকে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে। এটাও এক প্রকার শেরেক।
ইসমাইল (আঃ) কে কুরবানী করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইবরাহীম (আঃ) প্রমাণ করলেন তাঁর পবিত্র অন্তকরণে আল্লাহর প্রেম ভিন্ন অন্য কোন প্রেম নেই। পরীক্ষায় হযরত ইবরাহীম (আঃ) উত্তীর্ণ হয়ে ছিলেন।
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যে কোন প্রকার ত্যাগ স্বীকারই প্রকৃত ধর্ম। কুরবানীদাতা ত্যাগের মাধ্যমে কুরবানী করতে গিয়ে টাকা পয়সা প্রফুল্ল চিত্তে ব্যয় করে আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন করে।
কুরবানী মানুষের মধ্যে মানবতা বোধের জন্ম দেয়। পশুর গোস্ত দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে যে, উদার অন্তকরনের পরিচয় দেন তার তুলনা মেলাভার।
কুরবানী হয়ে আসুক আমাদের জন্য শিক্ষা, গোস্ত খাওয়া বা সুনাম অর্জন নয়।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে কুরবানীর সঠিক শিক্ষা উপলব্ধি করে ইবরাহীম (আঃ) এর আদর্শে নিজের জান,মাল,সময় সব কিছু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করার ব্যবস্হা করে দিন। -আমীন।
লেখক- খতীব আব্দুচ্ছালাম বাগেরহাটী,পিলখানা,ঢাকা।