প্রকাশিত : বুধবার,২৬ জুন ২০২৪ ইংরেজি, ১২ আষাঢ়, ১৪৩১ বাংলা (বর্ষা কাল),১৯ জিলহজ ১৪৪৫ হিজরি
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক :সদ্য বিদায়ী ঈদুল আজহার ছুটিতে ঈদযাত্রায় সড়কে ২৩৫টি দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় ২৩০ জন নিহত ও ৩০১ জন আহত হয়েছেন। একইসঙ্গে এসব দুর্ঘটনার কারণ প্রতিবেদনে এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন। গত ১১ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত সংগঠিত দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে ৬০টি দুর্ঘটনায় ৫৮ জন নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৪১টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত এবং ১২০ জন আহত, রাজশাহী বিভাগে ৪২টি দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত এবং ৭ জন আহত হয়েছেন।এছাড়া সিলেট বিভাগে ৭টি দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত এবং ৮ জন আহত, খুলনা বিভাগে ২৮টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত, রংপুর বিভাগে ২২টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত, বরিশাল বিভাগে ২০টি দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫টি দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন।নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, একটি বেসরকারি সংগঠন আমাদের প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে আমাদেরকে পরিসংখ্যানগত কোনো গরমিল প্রসঙ্গে অবহিত না করে ১১-২৩ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ ১৩ দিনের সড়ক দুর্ঘটনার যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে নিহতের সংখ্যা বিআরটিএ’র তথ্য থেকে ৩২জন বেশি; যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে এ তথ্যকে বিভ্রান্তিমূলক বলে দাবি করেছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান।দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বিআরটিএ উল্লেখ করেছে- হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালনা; অতিরিক্ত ও বেপরোয়া গতিতে মোটরযান চালানো; ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে মোটরযান চালানো; মোটরযান চালক কর্তৃক অসতর্ক ঝুঁকিপূর্ণভাবে ওভারটেকিং করা; পথচারীর অসাবধানতা এবং যত্রতত্র রাস্তা পারাপার করা।এছাড়া মোটরযান চালনার সময় অসাবধানতায় যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা; মহাসড়কে থ্রি হুইলারসহ অন্যান্য অবৈধ বাহন চলাচল; মোটরযান চালকদের ট্রাফিক আইন যথাযথ অনুসরণ না করা; চালকদের ট্রাফিক সাইন, রোড মার্কিং ইত্যাদি মেনে না চলা এবং পার্শ্ব সড়ক থেকে মহাসড়কে ওঠার সময় চালকের অসাবধানতা ইত্যাদি কারণে বিভিন্ন সড়কে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।