প্রকাশিত : শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪, খ্রিষ্টাব্দ।। ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ(শরৎকাল )।। ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : কাজী মোতাহার হোসেন একজন বিজ্ঞানী, পরিসংখ্যানবিদ, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং জাতীয় অধ্যাপক।
একজন চৌকস দাবাড়ু হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি ছিল তাঁর। কবি কাজী নজরুল ইসলামের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তিনি। নজরুল তাঁকে আদর করে মতিহার বলে সম্বোধন করতেন। বিখ্যাত এই মানুষটির জন্ম ১৮৯৭ সালের ৩০ জুলাই কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাতুলালয়ে। পৈতৃক নিবাস রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাগমারা গ্রামে।
তাঁর বড় কন্যা জোবায়দা মির্জা ঢাকা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন। আরেক কন্যা ওবায়দা সাদ ময়মনসিংহ ক্যাডেট কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন। দেশের খ্যাতিমান রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ড. সনজীদা খাতুন, ফাহমিদা খাতুন, মাহমুদা খাতুন ও লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন তাঁরই সুযোগ্য পুত্র কন্যা।
কাজী মোতাহার হোসেনের শিক্ষাজীবন শুরু হয় কুষ্টিয়াতেই। মেধাবি ছাত্র হিসেবে বৃত্তি নিয়ে ১৯০৭ সালে নিম্ন প্রাইমারি ও ১৯০৯ সালে উচ্চ প্রাইমারি পাস করেন।
১৯১৫ সালে কুষ্টিয়া মুসলিম হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় পাস করে ভর্তি হন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে। এখানে তিনি শিক্ষক হিসেবে পান প্রফুল্ল চন্দ্র রায়কে।
১৯১৭ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
১৯১৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বিএ পরীক্ষায় বাংলা ও আসাম জোনে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে এমএ পাস করেন।
১৯৩৮ তিনি সালে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে পিএইচডি করেন।
১৯২১ সালে ঢাকা কলেজে ছাত্র থাকাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ডেমনেস্ট্রেটর হিসেবে চাকরি শুরু করেন এবং একই বিভাগে ১৯২৩ সালে একজন সহকারি প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান।
কাজী মোতাহার হোসেনের নিজ উদ্যোগে ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যানে এমএ কোর্স চালু হয় এবং তিনি এই নতুন বিভাগে যোগ দেন।
তিনি গণিত বিভাগেও ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। ১৯৫১ সালে তিনি পরিসংখ্যানে একজন রিডার ও ১৯৫৪ সালে অধ্যাপক হন।
১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগে ১৯৬১ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন।
১৯৬৪ সালে স্থাপিত পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের তিনি প্রথম পরিচালক। ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়।
১৯২৬ সালে কাজী আব্দুল ওদুদ, সৈয়দ আবুল হোসেন ও আবুল ফজলের সঙ্গে তিনি ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ গড়ে তোলেন। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি কিছুকাল ‘শিখা’ নামক পত্রিকা সম্পাদনা করেন।তিনি বাংলা একাডেমির একজন প্রতিষ্ঠাতা। কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতির উপর অনেক বই ও প্রবন্ধ লিখেছেন।
১৯৮১ সালের ৯ অক্টোবর এই জ্ঞানতাপস ও বিজ্ঞানী মৃত্যুবরণ করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি।
(বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor