কিংবদন্তি সঙ্গীতগুরু শিল্পী নীলোৎপল সাধ্য’র প্রয়াণ দিবস আজ

0
2
কিংবদন্তি সঙ্গীতগুরু শিল্পী নীলোৎপল সাধ্য'র প্রয়াণ দিবস আজ

প্রকাশিত : সোমবার ১৭মার্চ, ২০২৫, খ্রিষ্টাব্দ।। ৩রা চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বসন্ত কাল)।। ১৬ রমজান, ১৪৪৬ হিজরী।

বিক্রমপুর খবর :অনলাইন ডেস্ক : আজীবন খানিকটা প্রচারবিমুখ আর ব্যক্তিগত তারকাখ্যাতি অর্জনের চেয়ে পরবর্তী প্রজন্মের ভেতর রবীন্দ্রসংগীত ও রবীন্দ্রভাবনা ছড়িয়ে দিতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন যিনি তিনি কিংবদন্তি সঙ্গীতগুরু নীলোৎপল সাধ্য।

জন্ম বৃহত্তর ময়মনসিংহের এক ছোট্ট ও নিভৃত গ্রামে ১৯৫৫ সালের ৬ ডিসেম্বর। ১৭ মার্চ ২০১৯ সালে মরনব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি পরলোকগমন করেন।
বিক্রমপুরের জামাই (তাঁর শ্বশুরালয় লৌহজংয়ের দিঘলী।) কিংবদন্তি সঙ্গীতগুরু শিল্পী নীলোৎপল সাধ্য’র প্রয়াণ দিবসে আমাদের শ্রদ্ধা।
পাঁচ বছর বয়সে তাঁর কাকা সুনীল সাধ্যর কাছে প্রথম গানে হাতেখড়ি। তাঁর বাবা স্বর্গীয় জ্ঞানেন্দ্রনাথ সাধ্যও গ্রামে তবলা বাজানো, অভিনয় করা বা ফুটবল খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময়েই নীলোৎপল সাধ্য প্রথম একটি জারিগানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম হন। সেই থেকে তাঁর গানের প্রতি ভালো লাগা বা ভালোবাসা তৈরি হয়।
তাঁদের গ্রামের বাড়িতে বেতার শোনা হতো এবং বেতারে নিয়মিত ওপার বাংলার আকাশবাণীতে রবীন্দ্রসংগীতের আসর শোনা এক ভদ্রলোক গান শোনার সময় বালক নীলোৎপলকেও পাশে বসাতেন।
সেই থেকে রবীন্দ্রসংগীতের ওপর তাঁর বিশেষ আকর্ষণ। তবে প্রথম যেদিন সংগীতাচার্য শৈলজারঞ্জনের সামনে বসে তিনি গান শেখার সুযোগ পান, সেদিন তাঁর নিজেকে সত্যিই সৌভাগ্যবান মনে হয়েছিল। মনে হয়েছিল যেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথই তাঁর সামনে বসা।
পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশ টিঅ্যান্ডটি বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন ২০১৬ সালে।
পেশাগত জীবনের পাশাপাশি নেশাগত জীবনেও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন নীলোৎপল সাধ্য।
১৯৮১ সালে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের ময়মনসিংহ শাখার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ২৬ বছরের নীলোৎপল সাধ্যর সাংস্কৃতিক জীবনের সূচনা।
তারপর আর থেমে থাকেননি। ড. নূরুল আনোয়ার ছিলেন এই পরিষদের চালিকা শক্তি। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩ সাল থেকে সংগীত বিভাগে রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষক হিসেবে খণ্ডকালীন অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন।
পাশাপাশি ২০১৪ সাল থেকে ত্রিশালে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়েও সংগীত বিভাগে তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
একবার কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁর সংগীত পরিবেশনার পর কলকাতার ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায় সে গানের প্রশংসা করে সংবাদ ছাপা হওয়ার মতো সম্মাননার পাশাপাশি সারা জীবন সমাজের নানা স্তরের মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান অর্জন করেছেন তিনি।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন