স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

0
13
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত

প্রকাশিত : রবিবার, ১৯জুলাই ২০২০ইং ।। ৪ঠা শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়াসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানাসহ অন্তত ১২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সরকারের চুক্তি কীভাবে হলো—সেটার ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের এ সপ্তাহে তলব করা হচ্ছে বলে দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, নথিপত্রে যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদেরই দুদকের মুখোমুখি হতে হবে। রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য যারা অনুমতি দিয়েছেন, যারা স্বাক্ষর করেছেন, যাকেই দরকার তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক। দুদক যে অনুসন্ধান করছে তার মূল ফোকাসটা হবে সরকারের সঙ্গে চুক্তি কীভাবে হলো, লাইসেন্স ছিল কি না। জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা।

দুদক সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের যে চুক্তি হয়, তাতে অর্থের বিনিময়ে করোনার নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি ছিল না। কিন্তু কোভিড-১৯ প্রতি টেস্ট বাবদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে নিত রিজেন্ট হাসপাতাল। এরপরও রিজেন্ট হাসপাতাল পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দিত।

করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতির বিষয়টি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিত্সাবিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠান (নিপসম) এর পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার বায়জীদ খুরশিদ রিয়াজ লিখিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানান। এরপরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রিজেন্টের এমন প্রতারণার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। ফলে করোনা পরীক্ষার নামে রিজেন্ট হাসপাতালের দুর্নীতি চলতে থাকে।

দুদকের কর্মকর্তা জানান, রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তার দায় যেসব কর্মকর্তার ওপর বর্তায় তাদের সবাইকেই দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সে হিসেবে রেকর্ডপত্রে স্বাক্ষর থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাক্তার নাসিমা সুলতানা, হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক ডাক্তার আমিনুল হাসান, একই বিভাগের উপ-পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ ইউনূস আলী, সহকারী পরিচালক শফিউর রহমানসহ অন্তত ১২ জন কর্মকর্তাকে কয়েক ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..  

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন