সিংহের হাটির আলহাজ জয়নাল আবেদীন দপ্তরীর সাতঘড়িয়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন

0
101
সিংহের হাটির আলহাজ জয়নাল আবেদীন দপ্তরীর লাশ সাতঘড়িয়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত : রবিবার, ১৭ মে ২০২০ ইং ।। ৩রা জ্যৈস্ঠ  ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।। ২৩ রমজান ১৪৪১

বিক্রমপুর খবর : অফিস ডেস্ক : লৌহজং উপজেলার সিংহের হাটি নিবাসী আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিন দপ্তরী গতকাল ১৬ই মে শনিবার শেষ রাতে ৩ টার দিকে  ঢাকাস্থ গেন্ডারিয়ার নিজ বাড়িতে ভোর রাতে ঘুমের মধ্যেই ইন্তেকাল করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাহার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

তিনি দীর্ঘদিন যাবত শারীরিক নানা অসুস্থতা নিয়ে চলা ফেরা করতেন তবে ব্যবসা বাণিজ্য থেকে অনেক আগ থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন।অবসর জীবনযাপন করতেছিলেন মাঝে মাঝে সামাজিক কর্মকাণ্ডে বাড়িতে আসতেন।পরিবারের সকলে মিলে পারিবারিক একটি বড় সংগঠন গড়ে তুলেছেন “দপ্তরী বাড়ী কল্যান ফাউন্ডেশান”নামে।

আজ সকাল ১০ ঘটিকায় নিজ বাড়ির সামনে সিংহেরহাটি জামে মসজিদের মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাহার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে সাতঘড়িয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিন দপ্তরীর স্ত্রী মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর হল, বিয়ে করেছিলেন ধাইদা চাকলাদার বাড়ি। মৃত্যুকালে ৩ছেলে ২ মেয়ে ও বিশাল পরিবারের সবাইকেসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষীকে রেখে না ফেরার দেশে চলে যান।

তাহার বড় ছেলে হাজী জিল্লুর রহমান মিঠু কনকসার ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড (সিংহেরহাটি) সদস্য। ছোট ছেলে জাপান প্রবাসী।

তিনি ব্রাহ্মণগাঁও বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। জয়নাল আবেদিন দপ্তরী ১৯৬৩ সালে মেট্রিক পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে খুব ভালো ফলাফল নিয়ে উত্তীর্ণ হন। তাহার সহদয় ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন ছিলেন ক্লাসের মেধাবী ছাত্র দু ভায়েই ক্লাসে ১ম ২য় ছাত্র হইতেন।মেট্রিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে খুব ভালো ফলাফল নিয়ে উত্তীর্ণ হন আনোয়ার হোসেন সে প্রথম জীবনে সিরাজদিখানে একটি স্কুলে জয়েন্ট করেন। ব্রাহ্মণগাঁও বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের খুব অভাব ছিলো তৎকালীন প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ ধরে এনে যুক্ত করে দেন ব্রাহ্মণগাঁও বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন এখানে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেন। এরপর খাদ্য অধিদপ্তরে সরকারি চাকুরী হলে তিনি ফুড ইন্সপেক্টর হিসেবে জয়েন্ট করেন। অবসরে যান খাদ্য অধিদপ্তরে পরিচালক প্রশাসন হিসেবে। ব্রাহ্মণগাঁও বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এর ১৯৬৩ সালের মেট্রিক পরীক্ষার ব্যাচে একটি মজার ব্যাপার ছিল ৩ পরিবারের ২ জন করে আপন সহদয় ভাই ছিল ক্লাস ফ্রেন্ড তারা হলেন এই জয়নাল আবেদিন দপ্তরী-আনোয়ার হোসেন দপ্তরী, ঢালী মোসারফ হোসেন-ঢালী মোয়াজ্জেম হোসেন এবং কোহিনুর শিকদাররা দুই ভাই।

লঞ্চের চাকুরী দিয়ে তাহার চাকুরী জীবন শুরু পরে নিজে ব্যাবসা করেন। খুব সৎ জীবনযাপন করেন। সাদা মনের মানুষ ছিলেন,অসাধারন তাহার আচার ব্যাবহার ছিল। এক কথায় খুব ভালো মানুষ ছিলেন আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিন দপ্তরী ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন