প্রকাশিত :মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০ ইং ।। ১লা বৈশাখ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর : শ্রীনগর প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় কনস্টেবল মনির ও র্যাব সদস্য নাসির আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত একজনের নাম মাসুদ (৩৬) অপরজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর-লৌহজং সার্কেল) আসাদুজ্জামান বলেন, ডাকাতি করে পালানোর সময় র্যাব-২ এর সাথে বন্দুক যুদ্ধে তারা নিহত হয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছে কনস্টেবল মনির হোসেন ও সৈনিক নাসির।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-২ এর কোম্পানী কমান্ডার (সিপিসি-৩) পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা। তিনি জানান, গেল তিন মাস যাবত ডাকাত সদস্যদের নজর রাখা হচ্ছিল। তারা শরিয়তপুরসহ ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোতে ডাকাতি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুরে অভিযান চালালে এ সময় র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি ছুড়ে। র্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে ডাকাত দলের দুই সদস্যকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় সেখান থেকে একটি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও ৭ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
শ্রীনগর থানার ওসি মো. হেদায়েতুল ইসলাম ভূইয়া জানান, তারা ব্যাটারী চালিতি একটি অটোতে করে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের মাওয়ার দিক থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। তাদের দু’জনের বয়স ২৬ থেকে ২৭ বছর হবে। তবে এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি। তিনি জানান, এই ঘটনায় র্যাব সদস্য আহত হয়েছে তাদেরও হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। তিনি শুনেছেন ডাকাত এই দু’যুবক র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পরে র্যাব-২ পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা মাহাসড়কে পড়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। সেখানে একটি পিস্তল ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার পরে থাকতে দেখা যায়। অটোটিতে কয়জন ছিলেন জানা যায়নি। অটোটি জব্দ করা হয়েছে। এর বেশী কিছু তিনি বলতে পারেননি।
মুন্সীগঞ্জ র্যাব-১১ এর ভাগ্যকূল ক্যাম্প কমান্ডার পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, “ঘটনাটি ঘটেছে র্যাব-২ এর সাথে। শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটে কয়েক দিন আগে একটি ডাকাতি হয়েছিল। সে ডাকাতদের র্যাব-২ ফলো করছিল। পরে শ্রীনগরের বেঁজগাঁও এলাকায় ফাইট হয়। এই ডাকাতরা পদ্মার ওপার থেকে এদিকে আসছিল। ”