প্রকাশিত : বুধবার, ৩ জুন ২০২০ ইং ।। ২০ই জ্যৈস্ঠ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।।
বিক্রমপুর খবর : শ্রীনগর প্রতিনিধি : শ্রীনগরে থানায় অভিযোগ করায় ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর বাড়ির সামনে ধর্ষক সহ তার লোকজন মহড়া শুরু করে। অভিযোগ দায়েরের ১ দিন পর মঙ্গলবার রাতে মামলা রেকর্ড করে শ্রীনগর থানা পুলিশ। এর পরপরই ধর্ষক শান্ত গাঁ ঢাকা দেয়। হাত পা বেঁধে জোড় করে ধর্ষণ করার পর তা ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পর উল্টো মহড়া দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ফুঁসে উঠেছে। বিচারের দাবীতে সরব হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ডালু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মামুন, জিএস নাজির হোসেন সহ বিভিন্ন নেতা কর্মী ও সমাজের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ ধর্ষক শান্ত সহ মামলার অন্যান্য আসামীদের দ্রæত গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন। ফেসবুকের জিএস নাজিরের একটি পোস্টের কমেন্টে সরকারী শ্রীনগর কলেজের এক ছাত্র ঘোষণা দিয়েছেন আগামী শুক্রবারের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এর আগে থানা থেকে ধর্ষনের অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার দিনভর ষর্ধক শান্ত সহ তার বাহিনীর ২০/২৫ জন যুবক ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ির সামনে মহড়া দেয়। এঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন।
ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় ২ সপ্তাহ আগে উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের সেলামতি হাজী বাড়ির হাসেম খলিফার ছেলে বখাটে শান্ত(২৪) রাতের আধাঁরে ঘরের জানালা ভেঙ্গে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ছাত্রীর (১৬) ঘরে প্রবেশ করে। ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে তার হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে ও ধষর্ণের চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে। এ বিষয়ে মুখ খুললে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। কয়েকদিন পরে শান্ত ওই ছাত্রীকে শারীরীক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হলে তা সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। ৫ দিন আগে বিষয়টি ওই ছাত্রীর পরিবারের কানে আসলে ওই ছাত্রী তাদের কাছে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলে। ওই ছাত্রীর পরিবার স্থানীয় ভাবে ঘটনার প্রতিবাদ করায় ধর্ষক শান্ত ক্ষিপ্ত হয়ে গত রোববার সন্ধ্যার দিকে তার বাহিনীর লোকজনদের নিয়ে রামদা চাপাতি নিয়ে হামলার প্রস্তুতি নেয়। পরে শ্রীনগর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর আটোচালক বাবা সোমবার দুপুরে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ মঙ্গলবার রাতে মামলা রেকর্ড করে।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা সাংবাদিকদের বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠাতে চাইলে সে পরীক্ষা করাতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..