প্রকাশিত:শনিবার,২৬ অক্টোবর ২০১৯ ইং ।। ১১ই কার্ত্তিক ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর :মাওয়া থেকে মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ : মাওয়ায় দুই শতাধিক জেলে ও ক্রেতাকে জেল-জরিমানা করে,জাল –নৌকা ধ্বংস করেও লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে মা ইলিশ নিধন ঠেকানো যাচ্ছে না। রাতদিন পদ্মাপাড়ে ইলিশ বিকিকিনি তে মানুষের ভিড় লেগেই আছে।
ইলিশ নিধনের আর ৬ দিন বাকি থাকতে জেলেরা শেষ মুহুর্তে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ক্রেতারাও প্রশাসনের কড়াকড়ি উপেক্ষা করে সস্তায় ইলিশ কিনতে চলে যাচ্ছে পদ্মাপাড়ে। দিনদুপুরে,রাতের আঁধারে অবাধে মাছ পাচার হচ্ছে। বিগত দিনে লৌহজংয়ে পদ্মায় মা ইলিশ শিকারবিরোধী অভিযান ব্যর্থ হওয়ায় এ বছর অসাধু জেলেরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন আগে থেকেই অধিকাংশ জেলে নৌকা ও জাল বানিয়েছেন বহুগুণ। জেলেদের শতকরা প্রায় ৯০ জন এবার ঋণ করে চড়াসুদে টাকা এনেছেন। ঋণের টাকা পরিশোধ করতেই পুলিশ,কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের পাহারাকে তোয়াক্কা না করে নদীতে ইলিশ শিকারে নামছেন।
পদ্মায় এ বছর ইলিশ শিকার অবাধ ছিল না। লৌহজং উপজেলা প্রশাসন,মৎস্য বিভাগ,পুলিশ,কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ বেশিরভাগ সময় নদীতে হানা দিয়েছে। যে কারণে জেলেরা টানা ইলিশ শিকার করতে পারেনি। তবে পুলিশ,কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের কাজে সমন্বিত উদ্যোগ ছিল না।
এই তিন বাহিনী পালা করে ২৪ ঘণ্টা নদী পাহারা দিলে জেলেরা নামতেই পারত না –এমন অভিমত অনেক সচেতন মানুষের ও বিজ্ঞ মহলের ধারণা,অভিযানের বাকি দিনগুলিতে প্রশাসনের উক্ত তিন সংস্থা সমন্বয় করে নদী পাহারা দিলে ক্রেতা ও বিক্রেদের শেষ মুহুর্তে ইলিশ কেনার হিড়িক থেকে বিরত রাখা সম্ভব।