প্রকাশিত : সোমবার,২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং ।। ১৩ই আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)।। ১০ই সফর, ১৪৪২ হিজরী
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : স্বজন-সহকর্মী, নিজ এলাকা বিক্রমপুরের অগণিত ভালবাসার মানুষ সহ সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে সকল আনুষ্ঠানিকতা এবং জানাজা শেষে তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী করবস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে আজ বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের পেশ ইমাম আবু সালেহ মো. সলিম উল্লাহ জানাজায় ইমামতি করেন।
জানাজায় অংশ নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ও হাইকোর্টের বিচারপতিরা। এছাড়া, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার অ্যাটর্নি জেনারেলের জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইনজীবীরা।
জানাজা শেষে মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে রাখা হয়। সেখানে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আইনজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবে আলম। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, মাহবুবে আলম ১৯৪৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার মৌছামান্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও ১৯৬৯ সালে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইন পেশা পরিচালনার অনুমতি পেয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে আইন পেশা পরিচালনার অনুমতি পান এবং ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগে আইন পেশা পরিচালনার অনুমতি পান।
মাহবুবে আলম ১১ বছর ৮ মাস রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার পদে ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে নিয়োগ পান। তারপর মৃত্যু অবধি ওই পদে ছিলেন।
তার স্ত্রী বিনতা মাহবুব একজন চিত্রশিল্পী। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে ছেলে সুমন মাহবুব পেশায় সাংবাদিক। আর মেয়ে শিশির কনা আইন পেশায় জড়িত রয়েছেন।