প্রকাশিত : সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০ ইং ।। ৩০ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর :স্টাফ রিপোর্টার,লৌহজং থেকে : মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে একজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। সোমবার সকালে আইইডিসিআর স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে এই তথ্য দিয়ে যাবতীয় নির্দেশনা প্রদান করেছে। এরপরই স্থানীয় প্রশাসন উপজেলার নাগেরহাট কমিউনিটি ক্লিনিক ও গ্রামটির সাতটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। লৌহজং উপজেলায় এই প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হল। এনিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলায় কোরানা সংক্রমণ পজেটিভ পাওয়া গেছে ১৪ জনের।
এই রোগী নারায়ণগঞ্জ থেকে জ্বর-মাথাব্যাথা নিয়ে গ্রামে আসে। পরে সন্দেহ হলে তার সোয়াব পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর -এ পাঠানো হয়। পরে আজ দুপুরে করোনা আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জের ৪৮ বছরের এই সবজি ব্যবসায়ীকে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান জানান, লৌহজংয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত এই রোগী আইইডিসিআর’র নির্দেশনা অনুযায়ী হাসপাতালে পাঠানো এবং তাদের বাড়ির ৬ টি পরিবার ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সি,এইচ,সি,পি হালিমা আক্তার কে লকডাউন করেন ।তাই নাগেরহাট কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে লকডাউন করা হয়েছে। তাদের খাবারের ব্যবস্হা উপজেলা প্রশাসন করবে এমর্মে আস্বস্হ করা হয়।
উল্লেখ্য যে আজ সোমবার ১৩ এপ্রিল সকালে করোনায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের নাগেরহাট গ্রামে ১জন করোনা ভাইরাসের এই ৫০ বছরের একজন পুরুষ রুগী সনাক্ত হয়েছে । উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায় আক্রান্ত ব্যাক্তির নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ পাওয়া যায়, সে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করতেন । গত মঙ্গলবার নিজ বাড়ী নাগের হাটে রাস্তা ঘাট বন্ধ থাকায় অনেক কস্ট করে ট্রলারে করে,রিক্সায় যোগে, অনেক পথ পায়ে হেটে এসেছেন। নারায়নগঞ্জ থেকে উপসর্গ নিয়ে গ্রামটিতে আসার পরই খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১১ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করে নেয়।
উল্লেখ্য যে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১১ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করে নেওয়ার সময় তাকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে যান কর্তৃপক্ষ।
লৌহজংয়ের ইউএনও আরও বলেন, আমরা বাড়িটি লকডাউনসহ প্রয়োজনে গ্রামটি লকডাউন করবো। এছাড়া তিনি বাজারেও গিয়েছেন, তাই হয়তো নাগেরহাট বাজারও লকডাউন করা হতে পারে। তার সংস্পর্শে যারা যারা এসছেন তাদেরকে খুঁজে বের করে হোম কোয়ারেন্টাইনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে এখন ।
এই নিয়ে জেলায় করোনা রোগী দাঁড়াল ১৪, তবে এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের মৃত ব্যক্তির (মুন্সীগঞ্জের মান্দ্রায় দাফন করতে নিয়ে আসা) নমুনা যেহেতু মুন্সীগঞ্জ থেকে পাঠানো হয়েছিল, তাই মুন্সীগঞ্জের সাথে এটি গননা করা হচ্ছে।
লৌহজংয়ের ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জের লিঙ্কেই মানুষে বেশী করোনা ছড়াচ্ছে। আমাদের সকলকের সুরক্ষার জন্যই এখন ঘর থেকে বের হওয়া ঠিক নয়। যদি অহেতুক বাইরে কাউকে পাওয়া যায়, আর জেলা সিল থাকা অবস্থায় ভেতরে কেউ প্রবেশের চেষ্ট করেন, তবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কবিরুল ইসলাম খান , লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শমিম আহমেদ , লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন, এবং কনকসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সহ আরো অনেকে।।