প্রকাশিত : শনিবার,৯ মে ২০২০ ইং ।। ২৬ বৈশাখ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।। ১৫ রমজান ১৪৪১
বিক্রমপুর খবর : স্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান ঝিলু, লৌহজং থেকে : মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার জসলদিয়ায় করোনা শনাক্ত একই পরিবারের চারজন চলেগেছেন ঢাকার কেরাণীগঞ্জে। ভেঙ্গে ভেঙ্গে ছোট ছোট গণ পরিবহন ব্যবহার করেন। এতে কোরনা সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়েগেছে। রাতে লৌহজংয় থানার পুলিশ গিয়ে জলদিয়ার খোকা মোল্লা বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে। একই সাথে কেরাণীগঞ্জ থানাকে অবহিত করেছেন করোনা শনাক্ত পরিবারটিকে লকডাউন করার জন্য।
ঘটনাস্থল থেকে ফিরে রাত সাড়ে ১২টায় লৌহজং থানার এসআই নুরুল সৈকত সভ্যতার আলোকে জানান, শুক্রবার লৌহজং উপজেলায় ৬জন নতুনাভাবে করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে দু’জনকে পাওয়া গেলেও বাকী চারজনকে পাওয়া যিাচ্ছিল না। পরে রাতে গ্রামটিতে পুলিশ গিয়ে জানতে পারে- পরিবারটি সকালেই অন্যত্র চলে গেছেন।
লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন সভ্যতার আলোকে বলেন, পুরুষ (৪৮), পুরুষ (২৮), শিশু (৮) ও শিশু (৬)। এই চার জনের সোয়া নেয়া হয় জসলদিয়া গ্রাম থেকে। কিন্তু এই ঠিকানায় তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। পরে জানা যায়, পরিবারটি ঢাকার কেরাণীগঞ্জের কালিগঞ্জ বসবাস করতেন। তাদের ভাড়া বাসায় করোনায় একজন মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তারা লৌহজং উপজেলার মেদেনীমন্ডল ইউনিয়নের যশলদিয়া গ্রামে দুই সপ্তাহ আগে আসে।
এ বিষয়ে করোনা শনাক্ত (৪৮) ফোনে পুলিশেকে ফোনে বলেন, বাড়িতে ১৫দিন ছিলাম। সকালে ঢাকায় চলে আসছি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করার জন্য। পরিবারের সকলকে নিয়ে ঢাকা কেরাণীগঞ্জে আছি। তবে বিস্তারিত ঠিকানা দিতে রাজি হননি। এসআই নুরুল সৈকত জানান, পরে এই ফোন নাম্বার সংশ্লিষ্ট থাকাকে দেয়া হয়েছে।
লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীম আহম্মেদ সভ্যতার আলোকে বলেন, করোনা সোয়াব দেয়ার পরই সাবধানে থাকা দরকার। সেখানে শনাক্ত হওয়ার পর এভাবে যাওয়ার ঘটনাটি কোনভাবেই ঠিক করেনি। আমাদের এতটুকু বোধ থাকতে হবে, যে আমার কারণে যাতে অন্যের সংক্রমণ না হয়। আমাদের সচেতনা এবং দায়িত্বশীল আচরণ এই যুদ্ধে জয়ী হতে সহায়ক হবে।
লৌহজং উপজেলায় করোনা শনাক্ত হওয়া অপর দু’জন- শুয়াপাড়া ও কাজীরপাগলা গ্রামের। তারা বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ সভ্যতার আলোকে জানান, যাদেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের অবশ্যই যে যে অবস্থানে আছেন সেখানে থাকবেন। প্রয়োজনে প্রশাসন বা স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সাহায্য নিয়ে হোসপাতালে আসবেন। কোনভাবেই ইচ্ছামাফিক স্থান ত্যাগ করবেন না। এতে ভয়াবহ পরিনতি হতে পারে। তিনি আরও জানান, করোনা রোগী ব্যাপারে মানবিক আচরণ করা দরকার। করোনা শনাক্ত হলে বা সোয়াব দেয়া হলে, তাকে আরও মানষিকভাবে উজ্জিবিত করতে হবে। মমতার বন্ধনে রাখতে হবে। যাতে নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করে এবং লকডাউনে থেকে চিকিৎসা নিতে পারে। তাতে ঐ এলাকায় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। তবে কারণ করোনা চিহ্নিত হলেই সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব।