প্রকাশিত:রবিবার,১০ জানুয়ারি ২০২১ইং।। ২৬শে পৌষ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ(শীতকাল।। ২৫শে জমাদিউল-আউয়াল,১৪৪২হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : লৌহজং সংবাদদাতা : লৌহজং উপজেলার মেদিনী মন্ডল আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু নাছের লিমনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের লাশ হত্যার অভিযোগে মামলার প্রেক্ষিতে কবর থেকে রবিবার উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে দাফনের সাড়ে পাঁচ মাস পর মুন্সীগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইলিয়াস শিকদারের উপস্থিতিতে পুলিশ লাশটি সকালে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। স্ত্রী হত্যার অভিযোগে আবু নাছের লিমনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর ভাই বাদী হয়ে বোনকে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অপর আসামি করা হয়েছে লিমনের পরকীয়া প্রেমিকা একই গ্রামের ইসমাইল সরকারের স্ত্রী দিলরুবা আক্তারকে। মামলার পর হতে স্বামী লিমন পলাতক রয়েছে। লিমন উত্তর মেদিনী মন্ডল গ্রামের ওহাব খানের পুত্র। আর তাহমিনা আক্তার শ্রীনগর উপজেলার সামষপুর গ্রামের জয়নাল খানের মেয়ে। তাহমিনার সংসারে আনাছ খান (১৪) ও আহাদ খান (৭) নামক দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
মামলা সূত্র ও নিহতের ভাই জানান, আবু নাছের লিমনের সঙ্গে ১৬ বছর পূর্বে ভিকটিম তাহমিনা আক্তার ঝুমুর প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করে। গত ৫-৬ বছর পূর্বে দিলরুবা আক্তার নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে লিমন। বিষয়টি এক সময় জানাজানি হয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকত। গত ২৪ জুলাই লিমন তার পরকীয়া প্রেমিকা দিলরুবাকে নিয়ে বাড়িতে আসে। এ সময় স্ত্রী তাহমিনা দিলরুবাকে বাড়িতে থেকে চলে যেতে বললে লিমন ও দিলরুবা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এর পর কাউকে কিছু না জানিয়ে অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে স্বজনরা তাহমিনার মৃত্যু সংবাদ জানতে পেরে শিক্ষক লিমনের কাছে মৃতুর কারণ জানতে চাইলে তিনি কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এজাহারে এও বলা হয় থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে নানা তালবাহানা শুরু করে। তাই আদালতের এ মামলা দায়ের করেছেন নিহত তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের ভাই মো. কামরুজ্জামান খান। মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-৬ এ দ.বি. ৩২০/৩০২/৩৪ ধারায় গত ১০ আক্টোবর একটি সিআর মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৮১।
লৌহজং থানার ওসি মো. আলমগীর হোসাইন জানিয়েছে, গত মাসে মামলাটি আদালত হতে থানায় আসে। ১০ জানুয়ারি একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের লাশ কবর হতে তুলে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, নিহত তাহমিনা আক্তার ঝুমুরকে যে মহিলারা দাফন-কাফনের জন্য গোসল করিয়েছে, তারা তাহমিনার গলায় কালো দাগ দেখতে পান। কৌশলে তারা ওই সময় মোবাইল ফোনে তাহমিনার গলার কালো দাগের ছবি তুলে রাখেন। এ থেকে বিষয়টি হত্যা বলেই মনে করছে বাদী পক্ষের লোকজন।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’