লে. জেনারেল (অব.) সারওয়ার্দী অনৈতিক আচরণের কারণে অবাঞ্ছিত : সেনাসদর

0
12
লে. জেনারেল (অব.) সারওয়ার্দী অনৈতিক আচরণের কারণে অবাঞ্ছিত : সেনাসদর

প্রকাশিত : সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০ইং ।। ৫ই শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক :  বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর দেওয়া বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেনাসদর। গতকাল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, এনডিসির কমান্ড্যান্ট থাকাবস্থায় একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে সেনানিবাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, বীর বিক্রম সম্প্রতি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফরমে সেনানিবাসে প্রবেশ এবং সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যাচার করেন যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। উল্লেখ্য, তিনি লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর এনডিসির কমান্ড্যান্ট থাকাবস্থায় একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি এনডিসিতে পরিচালিত বিভিন্ন কোর্সের সঙ্গে বিদেশে ভ্রমণকালেও অনেক মেয়েকে নিয়ে চলাফেরা করেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তার এই অশোভনীয় আচরণ এবং মেলামেশার ছবি কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত হলে কর্তৃপক্ষ বিব্রত হয় এবং তাকে বিভিন্নভাবে উপদেশ দেওয়া হয়। তিনি এলপিআরে থাকাকালীন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ১৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে প্রথম স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন এবং সেনা আইনবহির্ভূতভাবে মেসকিট (সামরিক পোশাক) পরে ২১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত এক মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে বিবাহ করেন। কিন্তু তিনি বিবাহের পূর্বে সেই মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে নিয়ে ৩ নভেম্বর ২০১৮ থেকে একই বাসায় অনৈতিকভাবে অবস্থান করেন। এমনকি তিনি বিবাহের পূর্বে সেই মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে সঙ্গে নিয়ে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন, সাজেক রিসোর্ট, খাগড়াছড়িতে অবকাশ যাপন, বিভিন্ন সময় ভারত, থাইল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণ ও অবস্থান করেন, যার সচিত্র আলামত সামরিক ও অসামরিক পরিমন্ডলে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। এ ছাড়াও তিনি যাকে বিয়ে করেন তিনি একজন বিতর্কিত নারী হিসেবে পরিচিত। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর এ ধরনের আচরণ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর। এ ধরনের ঘটনা সেনাবাহিনীতে কর্মরত অফিসার এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যদের মধ্যে নেতিবাচক উদাহরণ হিসেবে কাজ করে ও বিরূপ প্রভাব ফেলে। সামগ্রিক বিবেচনায় গত ১০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে উক্ত অফিসারকে সেনানিবাস ও সেনানিবাস আওতাভুক্ত এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, সেনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’র জন্য সেনানিবাস ও সেনানিবাসের আওতাভুক্ত সব স্থাপনা এবং সেনানিবাসের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যেমন- সিএমএইচ এ চিকিৎসা সেবা, অফিসার্স ক্লাব, সিএসডি শপ ইত্যাদি’তে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..    

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন