রমজান মাসে জুমার গুরুত্ব-ফজিলত

0
1
রমজান মাসে জুমার গুরুত্ব-ফজিলত

প্রকাশিত : শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫, খ্রিষ্টাব্দ।। ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বসন্ত কাল)।। ১৪ রমজান, ১৪৪৬ হিজরী।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : রমজান মাস মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ বরকত ও মর্যাদা অর্জনের একটি মাস। এটি শুধুমাত্র রোজা রাখার মাস নয়, বরং একে কেন্দ্র করে নানা ধরনের ইবাদত এবং আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও তাওবা করার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত হলো জুমার নামাজ। শুক্রবার (০৭ মার্চ) পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুমা। এ মাসে জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। রমজানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ তারাবি, তাহাজ্জুদ, সুন্নত ও নফল নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অনেক বেশি।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, হে মুমিনরা! জুমার দিন যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে এসো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো, এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝ। এরপর নামাজ শেষ হলে জমিনে ছড়িয়ে পড়ো, আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ করো এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুমা, (৬২), আয়াত, ৯-১০)।

রমজানে ইবাদত করলে সওয়াব বেশি। রমজানে ইবাদত সম্পর্কে আবু হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক আদম সন্তান ভালো কাজের প্রতিদান দশ থেকে সাতশ’ গুণ বেশি পাবে। রোজা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ নিজেই এর প্রতিদান দেবেন। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৭)

বিভিন্ন হাদিসে জুমার দিনের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এখানে জুমা দিনের ফজিলত সম্পর্কিত হাদিস তুলে ধরা হলো-

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- সূর্য উদিত হয় এমন সকল দিনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হ’ল জুমার দিন। এ দিনেই আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এদিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান হয়। এ দিনেই তাকে তা থেকে বের করা হয়। আর এ জুমুআর দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। – সহিহাহ ১৫০২, সহিহ আবু দাউদ ৯৬১, মুসলিম, তা’লীক সহিহ ইবনু খুজাইমাহ ৩/১১৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৮৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদিসে রয়েছে, হযরত সালমান ফার্সী (রা.) বলেন, বিশ্বনবী (সা.) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে ভালোরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, নিজের ঘরের তেল, সুগন্ধি ব্যবহার করে বের হয় এবং দু’জন লোকের মাঝে ফাঁকা জায়গা না রেখে তার নির্ধারিত নামাজ আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেয়ার সময় চুপ থাকে তাহলে তার জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত সময়ের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বুখারী ২য় খণ্ড ৮৩৯)

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চায় আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..           

‘‘আমাদের বিক্রমপুরআমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুনবিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor
email – bikrampurkhobor@gmail.com

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন