মার্চ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তথ্য সংগ্রহ

0
1
মার্চ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তথ্য সংগ্রহ

প্রকাশিত : সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪, খ্রিষ্টাব্দ।। ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১বঙ্গাব্দ(হেমন্তকাল)।। ২৯ জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : ভোটার তালিকা হালনাগাদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। সারা বছরই এই প্রক্রিয়া উন্মুক্ত থাকে এবং প্রতিটি সাধারণ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তালিকা হালনাগাদ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বছর ২ মার্চের পর ভোটার তালিকার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি। সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, বর্তমানে ১৭ লাখ নতুন ভোটারের তথ্য আমাদের হাতে আছে। ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সেগুলো ডেটা সার্ভারে আমরা সন্নিবেশ করব। এরা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে। তবে আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে এই ডেটাটা সবসময় পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ, অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন না। এই সংখ্যাটা আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারত। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ ডেটা আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ ডেটা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর মাত্র চার লাখ প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ বিভিন্ন অফিসে এসে এ বছর ভোটার নিবন্ধন করেছেন। অর্থাৎ আমরা দেখতে পারছি কম-বেশি ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার নিবন্ধিত হননি, কিন্তু ভোটার হওয়ার যোগ্য। এই বাস্তবতায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের এই বছরের যে হালনাগাদ প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ২ জানুয়ারি খসড়া প্রকাশের পর শুনানি, দাবি-আপত্তির পর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়ে যাবে। কিন্তু যারা এরমধ্যেও বাদ পড়ল আমরা চাই যে তারা আমাদের ভোটার তালিকায় সন্নিবেশিত হোক। এই জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করব। এই বাদ পড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন, অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন তাদের তথ্য আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করব। এতে আমরা যে সুবিধা পাব বলে মনে করছি- আমাদের ভোটার তালিকাটি আমরা চেক করে নিতে পারব। এই ছয় মাস সময়ের সঙ্গে আমাদের ভোটার তালিকা হালনাগাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে- একটি শুদ্ধ এবং পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা, যেখানে সঠিকতা যেন শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি। তার পাশাপাশি যারা প্রাপ্তবয়স্ক তারা যেন ১ জানুয়ারি ২০২৫ এবং পরবর্তীতে ১ জানুয়ারি ২০২৬-এ যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য তারা কেউ যেন বাদ না পড়েন।

তিনি বলেন, আরেকটি নীতিগত সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি যখনই কোনো একটি নির্বাচন আমাদের সামনে আসবে, আমাদের চেষ্টা থাকবে বিশেষ কোনো অর্ডিন্যান্স জারি করে হলেও তফসিল ঘোষণার আগে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভোটার হওয়ার যোগ্যদের যেন আমরা তালিকাভুক্ত করতে পারি।

নির্বাচন কমিশনারদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করলো সরকার

এদিকে, নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) নামের বানান ও জ্যেষ্ঠতার ক্রম নির্ধারণ করে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ হচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুর রহমানের মাছউদ। দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ ইসি হচ্ছেন সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমদ, ক্রমিকের ৩ নম্বরে থাকছেন মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং তালিকার শেষে অর্থাৎ চতুর্থ ক্রমিকে থাকবেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২১ নভেম্বর জারি করা নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে ১ নম্বর ক্রমিকে ছিলেন মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ক্রমিক-২ ও ৩-এ ছিলেন আব্দুর রহমানের মাছউদ ও বেগম তাহমিদা আহমদ। আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আগেও ৪ নম্বর ক্রমিকে ছিলেন। ফলে নতুন প্রজ্ঞাপনে এক থেকে তিন নম্বর অবস্থানগুলোতে জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী পরিবর্তন এসেছে।

নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতার সঙ্গে গঠিত হয়েছে: গোয়েন লুইস

এদিকে, সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস। এরপর গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বচ্ছতার সঙ্গে গঠিত হয়েছে।

গোয়েন লুইস সাংবাদিকদের বলেন, নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সোমবার আমরা প্রাথমিক সাক্ষাৎ করেছি। আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে সমর্থন জানাতে এসেছি। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে জাতিসংঘ কী ধরনের টেকনিক্যাল সহায়তা দিতে পারে- এ বিষয়ে সিইসির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, আনন্দের বিষয় হচ্ছে এই নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতার সঙ্গে গঠিত হয়েছে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থন পাবে। আমরা এই কমিশনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করব।

সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আজকের সাক্ষাতে কোনো আলাপ হয়নি। এ সিদ্ধান্তটি অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিকভাবে গ্রহণ করবে। আমরা শুধু টেকনিক্যাল বিষয়েই কথা বলেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..           

‘‘আমাদের বিক্রমপুরআমাদের খবর

আমাদের সাথেই থাকুনবিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com

আমাদের পেইজ লাইক দিন শেয়ার করুন

জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor

email – bikrampurkhobor@gmail.com

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন