প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০২০ইং ।। ১৬ই অগ্রাহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ(হেমন্তকাল)।। ১৫ই রবিউস-সানি, ১৪৪২ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : শুরু হলো রক্তঝরা গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের মাস ডিসেম্বর।বিজয়ের মাসের প্রথম দিন আজ ।১৯৭১ সালের ডিসেম্বরেই সূচনা হয় বাঙালির নবজীবনের।এ মাসেই বাঙালি পেয়েছিল তার বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।মহান মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবের।
নিপীড়ন নির্যাতন-বৈষম্য। অধিকার বঞ্চিত বাঙালি। রুখে দাঁড়ালেন বঙ্গবন্ধু। তার নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ পুরো জাতি। ধাপে ধাপে এগিয়ে যায় স্বাধীনতার লক্ষ্যে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন। ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি পাকিস্তানি সামরিক জান্তার। ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ দিলেন স্বাধীনতার ডাক। তখনও উত্তেজনা পুরো ঢাকা জুড়ে। ১০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান দফায় দফায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করেন। সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া নির্বিচারে বাঙালি হত্যার হুকুম দিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেন।
২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর চলে গণহত্যা। গ্রেপ্তার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। গ্রেপ্তারের আগেই বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধ। ধীরে ধীরে গড়ে উঠে প্রতিরোধ। বাঙালি এগিয়ে চলে বিজয়ের পথে।ডিসেম্বর মাসের প্রাক্কালেই বাঙালীরাও শক্তভাবে মাথা তুলে দাঁড়ায়, একে একে মুক্ত করে পাকিস্তানের ঘাঁটি, দখলে নেয় স্বপ্নের মাতৃভূমি।১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় সাত কোটি মানুষের স্বপ্নের লাল সবুজ। বাঙালির স্বপ্নের, সাধনার, অর্জনের মাস, ডিসেম্বর। এবার বাঙালি পালন করবে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী।
৩০ লাখ শহীদ আর দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সাক্ষর এবারের বিজয়ের মাস করোনা আবাহর মধ্যেও নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হবে।জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।প্রিয় মাতৃভূমির জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করবে এবং তাদের মাগফেরাত কামনা করবে। ঘৃণা-ধিক্কার জানাবে স্বাধীনতার শত্রু এদেশীয় রাজাকার, আলবদর ও মানবতারশত্রু যুদ্ধাপরাধীদের।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
