বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার

0
3
বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার

প্রকাশিত : শনিবার, ২২ আগস্ট ২০২০ইং ।। ৭ই ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।

বিক্রমপুর খবর : মিজানুর রহমান ঝিলু, লৌহজং থেকে :  বৈরি আবহাওয়ার কারণে গত বুধবার রাত থেকে পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ ও ঝোড়ো বাতাস থাকায় মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে সীমিত পরিসরে ফেরি চলছে। ফলে শিমুলিয়া ও কাঁঠালবাড়ি উভয় ঘাটে ছয় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে। কিন্তু পদ্মার প্রবল স্রোত ও ঢেউ উপেক্ষা করে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। দেখেও না দেখার ভান করছে ঘাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন সংস্থার নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মীরা।

গত ঈদুল আজহার পর থেকেই এ নৌপথে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার করছে লঞ্চগুলো।

শুক্রবার দুপুরে সরজমিনে দেখা যায়, এমভি রয়েল-২ নামের লঞ্চের ধারণক্ষমতা ৯০ জনের হলেও ২৫০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে সেটি কাঁঠালবাড়ি থেকে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে। লঞ্চের মাস্টারকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি নিরুত্তর থাকেন।

অন্যদিকে, ১৯০ জনের ধারণক্ষমতার এমভি আরিফ নামক লঞ্চটি সাড়ে তিনশ যাত্রীবোঝাই করে ঘাটে আসে। লঞ্চের মাস্টার বলেন, আমাদের না বলে লঞ্চের মালিকদের বলেন।

লঞ্চে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার বিষয়ে শিমুলিয়া ঘাটের নৌপুলিশের পরিদর্শক সিরাজুল কবির বলেন, ঈদের দুই-তিন দিন পরে ৫টি লঞ্চের মালিককে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করার জন্য জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আমরা লঞ্চের মালিক-চালকদের অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে নিষেধ করি, কিন্তু তারা তা মানতে চান না।

এদিকে, এ নৌপথে চলাচলকারী স্পিডবোটে যথেচ্ছাচার চলছে। এখানে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব চরমভাবে উপেক্ষিত। স্পিডবোটে একে অন্যের গা ঘেঁষে আসনের সমসংখ্যক যাত্রী নদী পার হচ্ছে। এমনকি হ্যান্ডস্যানিটাইজার কিংবা জীবাণুনাশক স্প্রেরও ব্যবস্থা নেই। শিমুলিয়া ঘাটের সিবোটের টিকিট কাউন্টারে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বে থাকা লোকজন কোনো উত্তর দেয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..                          

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন