প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং।। ১লা ফাল্গুন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)।। ১১ রজব,১৪৪৩ হিজরি।।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : কথায় বলে প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে। প্রেম-উদযাপন শুরু হয়েছে সেই ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। চলেছে গোটা সপ্তাহজুড়ে। সেদিন ছিল ‘রোজ ডে’, পরের দিন ৮ ফেব্রুয়ারি ‘প্রোপোজ ডে’, ৯ ফেব্রুয়ারি ‘চকোলেট ডে’, ১০ ফেব্রুয়ারি ‘টেডি ডে’, ১১ ফেব্রুয়ারি ‘প্রমিস ডে’, ১২ ফেব্রুয়ারি ছিল ‘হাগ ডে’।
কিছু দেশে ভ্যালেন্টাইন্স ডে ফেব্রুয়ারিতে হয় না। ব্রাজিলে একটি কার্নিভাল হয় যা ১৪ই ফেব্রুয়ারির কাছাকাছি হয় তাই সেখানকার মানুষ ১৪ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ১২ জুন প্রেম দিবস উদযাপন করেন এবং একে দিয়া ডস নামোরাডোস বলে। সেই তারিখে উপহার গোলাপ, চকলেটসহ উৎসবে মেতে ওঠেন মানুষ ।
জাপানে, ভ্যালেন্টাইনস ডে বিভিন্ন উপায়ে পালন করা হয়।
এই বিশেষ দিনটিতে মহিলারা সাধারণত উপহার দিয়ে থাকেন পুরুষদের । উপহারের ধরণ নির্ভর করে সেই পুরুষের সাথে মহিলার সম্পর্ক কেমন তার উপর। কোনো পুরুষের সাথে রোম্যান্টিক সম্পর্ক থাকলে সেই পুরুষকে একজন মহিলা ভালবাসার চকোলেট দেন ,যাকে জাপানি ভাষায় বলে “হোনমেই-চকো” । আর কোনো পুরুষের সাথে নিছক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে তাঁকে একজন মহিলা দিয়ে থাকেন দায়বদ্ধতা বা কর্তব্যের চকোলেট। যাকে জাপানি ভাষায় বলে “গিরি-চোকো” । কিন্তু জাপানের পুরুষদের ভালোবাসা দিবসের এক মাস পর অপেক্ষা করতে হয় তাদের প্রিয়তমাদের উপহার দেবার জন্য। সেই দিনটি ১৪ মার্চ, এবং তারা একে সাদা দিবস বলেন ।
স্লোভেনিয়ায় ভ্যালেন্টাইন্স ডে রোমান্টিক উপায়ে উদযাপন করা হয় না কারণ এই তারিখটিতে মাঠে নেমে কাজ শুরু করেন সেখানকার মানুষ তাই এটিকে বসন্ত উত্সব বলা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে স্লোভেনিয়া ১২ মার্চ ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপন করে।
এস্তোনিয়াতে, ভালোবাসা দিবসের দিন বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরো মজবুত করা হয়। সেখানকার মানুষ একে সোব্রাপেভ বলেন। এই দিনটিতে এস্তোনিয়ার মানুষ ভালবাসা উদযাপনে মেতে ওঠেন তা সে পরিবারের সদস্যদের সাথেই হোক বা সমবয়সীদের মধ্যে হোক।
ঘানা হয়তো ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালনের সবচেয়ে সুস্বাদু উপায় আবিষ্কার করেছে কারণ লোকেরা এই তারিখটিকে চকোলেট দিবস হিসেবে উদযাপন করে। আর তাই দেশটির রেস্তোরা এবং দোকানগুলি পর্যটকদের আকর্ষণ করার উপায় হিসাবে সারি সারি চকোলেট সাজিয়ে রাখে দোকানের সামনে। ঘানা বিশ্বের অন্যতম কোকো রপ্তানিকারক দেশ।
ডেনমার্ক এবং নরওয়ের রোম্যান্স প্রকাশের স্বতন্ত্র উপায় রয়েছে। পুরুষরা প্রেরকের পরিচয় প্রকাশ না করেই মহিলাদের কাছে গাইকেব্রেভ বা মজার নোট পাঠায়। তারা প্রেরকের নামের পরিবর্তে প্রেরকের নামের অক্ষরের সংখ্যার সমান ডট বা বিন্দু দিয়ে রাখেন, বাকিটা বুঝে নিতে হয় প্রিয়তমাকে। যদি মহিলাটি প্রেরকের নাম খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়, তবে সে ওই বছরেই একটি ইস্টার ডিম পায়। যদি সে ব্যর্থ হয়, সে প্রেরকের কাছে একটি ইস্টার ডিম পাঠায়।
সৌদি আরবে, বেশিরভাগ পুরুষরাই নারীদের উপহার দেয় এবং উপহার হিসেবে থাকতে পারে দামি জিনিস, পোষা প্রাণী, লাল গোলাপ এবং বেলুন। একটি উপহারের দোকানের মালিক শাথা আব্দুল হালিম বলেন, বেশিরভাগ পুরুষই তাদের প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার জন্য লাল গোলাপ এবং বেলুন দিয়ে সজ্জিত বিড়াল, খরগোশ বেছে নেন। হালিম আরব নিউজকে জানিয়েছেন , প্রতি বছর ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে তিনি উপহার সাজানোর জন্য অনেক অর্ডার পান। তবে সবথেকে মজার অর্ডারটা তিনি একজন মহিলার থেকে পেয়েছিলেন। তাঁর স্বামী নানারকমের মোজা পরতে ভালোবাসতেন। তাই অনেক মোজা সংগ্রহ করে সেটি দিয়ে একটি ফুলের তোড়া বানিয়ে দিতে বলেছিলেন ওই মহিলা। সত্যিই !একেই বলে ভালোবাসা। সৌদিরা এই বিশেষ দিনটিতে পার্টির আয়োজন করে থাকেন এবং প্রিয়জনদের সাথে মেতে ওঠেন উৎসবের আনন্দে। লাল বেলুন এবং ফুল দিয়ে সাজানো হয় ভেন্যুগুলো। কোথাও কোথাও পার্টিতে লাল ক্যান্ডি উপহার দেয়া হয় অতিথিদের। হাম্মাদ আল-শামারি, একজন মার্কেটিং এবং যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে সৌদিরা এখন অ্যাপস এবং ডিজিটাল ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে উপহার দেওয়া পছন্দ করছেন । যার মধ্যে থাকছে স্পা, চকোলেট, ফুল এবং ডিনারের আমন্ত্রণ।
সূত্র : www.arabnews.com
(বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’