বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের জন্মদিন আজ

0
0
বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, খ্রিষ্টাব্দ।। ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ(হেমন্তকাল)।। ৩০ জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক :বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব বিচারপতি হাবিবুর রহমানের জন্মদিন আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার। তাঁর জন্ম ৩ ডিসেম্বর ১৯২৮, ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুরের দয়ারামপুর গ্রামে। তিনি ছিলেন ভাষাসংগ্রামী, বিচারপতি, গবেষক ও চিন্তাবিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারার বিরুদ্ধে মিছিলে প্রথমসারিতে ছিলেন তিনি।

১৯৬৪ সালে আইন ব্যবসায় যোগ দেন। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে বিচারপতি হাবিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসর নেন। সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হিসেবে তিনি ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তথা দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দেশ পরিচালনার পাশাপাশি মননশীল লেখক, অনুবাদক, বিশ্লেষক, সাহিত্যিক, কবি ও রবীন্দ্র গবেষক হিসেবেও বিশিষ্ট ছিলেন। দেশবিভাগের পর সপরিবারে তাঁর বাবা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী জহিরউদ্দিন বিশ্বাস বাংলাদেশে চলে আসেন এবং রাজশাহীতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে ১৯৪৯ সালে বি.এ. সম্মান ও ১৯৫১ সালে এম.এ. পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি অঙফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ইতিহাসে ১৯৫৮ সালে বি.এ. সম্মান ও স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। হাবিবুর রহমানের কর্মজীবনের শুরু ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে যোগ দিয়ে। এসময় তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেছেন কিছুকাল। ১৯৬৪ সালে আইন পেশা শুরু করেন। আইন পেশায় হাবিবুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ নানা পদে অধিষ্ঠিত থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধান বিচারপতি এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে দেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবেও তাঁর অবদান বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। অনুবাদ সহ সত্তরটিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন হাবিবুর রহমান। একজন গবেষক ও লেখক বিচারপতি হাবিবুর রহমান সাহিত্য ও অন্যান্য বহু ক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখেছেন।

তার প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে অন্যতম হল: ‘ল‘ অফ রিকুইজিশন’ (১৯৬৬), ‘রবীন্দ্র প্রবন্ধে সঞ্জনা ও পার্থক্য বিচার’ (১৯৬৮), ‘যথা–শব্দ’ (১৯৭৪), ‘মাতৃভাষার স্বপক্ষে রবীন্দ্রনাথ’ (১৯৮৩), ‘কোরআন সূত্র’ (১৯৮৪), ‘বচন ও প্রবচন’ (১৯৮৫), ‘গঙ্গাঋধি থেকে বাংলাদেশ’ (১৯৮৫), ‘রবীন্দ্র রচনার রবীন্দ্র ব্যাখ্যা’ (১৯৮৬), ‘রবীন্দ্র কাব্যে আর্ট, সঙ্গীত ও সাহিত্য’ (১৯৮৬), ‘অন রাইট্‌স আন্ড রিমেডিস্‌’ ‘আমরা কি যাব না তাদের কাছে যারা শুধু বাংলায়’ কথা বলে (১৯৯৬) ‘ভাষার আপন পর’ (২০১২) অনুবাদ করেছেন পবিত্র কোরআন শরিফের। জাতির সংকটকালে সবসময় তিনি সত্য ও ন্যায়ের পথে ছিলেন, ছিলেন সাধারণের পাশে। অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক চেতনায় চালিত ছিলেন আজীবন। ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..           

‘‘আমাদের বিক্রমপুরআমাদের খবর

আমাদের সাথেই থাকুনবিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com

আমাদের পেইজ লাইক দিন শেয়ার করুন

জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor

email – bikrampurkhobor@gmail.com

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন