প্রকাশিত:সোমবার,২৪ জুন ২০১৯। ১০ আষাঢ় ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর:অনলাইন ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি আদর্শ। বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনৈতিক নেতাদের পরিপক্কতা (Political Maturity) এবং দু’দেশের সম্পর্ক অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয়। ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমানা, সমুদ্র সীমা, এমনকি গঙ্গার পানি চুক্তি – এগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। এ ধরনের অর্জনের জন্য যে পরিপক্কতা ও ধী শক্তি দরকার সেগুলো দু’দেশের রাজনৈতিক নেতাদের আছে বলেই এ ধরনের অর্জন সম্ভব হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ২২ জুন ঢাকায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, দেশকে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমাদের সামনে বহু চ্যালেঞ্জ আছে। যে দেশ উন্নয়ন করে তাদের বহুদিক থেকে বাধা আসে। আমাদের দেশেও আসতে পারে। সেই সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চালু করেন। এতে দেশের মানুষের গণসচেতনতা অনেকগুণ বেড়ে গেছে। বেসরকারি টেলিভিশন আমাদের উন্নয়নের বড় হাতিয়ার। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী দু’বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সাথে সাথে আমরা প্রত্যেক ক্ষেত্রে এ দেশের বহুবিধ অর্জন তুলে ধরতে চাই। অর্থনৈতিক কিংবা পররাষ্ট্রনীতি- প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন অনেক, এক একটি ক্ষেত্রে আমরা দিক পাল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্জন এবং আগের অবস্থা থেকে বর্তমান অবস্থায় যে পরিবর্তন হয়েছে তা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন।
একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল (অব) মোহম্মদ আলী শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ এমপি।