প্রকাশিত:মঙ্গলবার,১৩ এপ্রিল ২০২১ইং।।৩০শে চৈত্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ(বসন্তকাল)।।৩০ শাবান ১৪৪২ হিজরী
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : বন্ড লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ ও অন্যান্য অনিয়মের জন্য এক হাজারের বেশি বিজনেস শনাক্তকরণ নম্বর (বিআইএন) লক করেছে ঢাকার কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট।
একই সঙ্গে শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধায় বন্ড লাইসেন্সের অধীনে রফতানির কথা বলে কী কী কাঁচামাল আমদানি করেছে ও আদৌ কিছু রফতানি করেছে কি না যাচাই করতে বন্ড কমিশনারেট থেকে দেশের কাস্টমস অফিসগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন বন্ড অফিস থেকে ওই নির্দেশনাসহ চিঠি গত সপ্তাহে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার মো. শওকত হোসেনের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানসমূহের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে প্রায়ই বন্ড লাইসেন্স সাসপেন্ড ও বিআইএন লক করার আদেশ বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করা হয়। তার প্রেক্ষিতে অ্যাসইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিআইএন লক করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন কারণে সম্প্রতি এক হাজারের বেশি বন্ড লাইসেন্স সাসপেন্ড ও লক করা হয়েছে। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানের ৯ ও ১৩ সংখ্যার বিআইএন বিভিন্ন কারণে একই সময়ে কার্যকর থাকা, পরিবর্তন বা হালনাগাদ না হওয়া ও বিভিন্ন জটিলতার কারণে সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানের বিআইএন লক করা যাচ্ছে না। এই বাস্তবতায় ঢাকা বন্ড কমিশনারেটের প্রদত্ত ডাটাবেজ দেখে পণ্য খালাস ও রফতানির পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা গেল।
এ বিষয়ে বন্ড কর্মকর্তারা বলছেন, বন্ড লাইসেন্সধারী ব্যবসায় শর্ত মেনে না চলা, বার্ষিক রফতানি-আমদানির ডাটা সরবরাহ না করা, নিরীক্ষার কার্যক্রমে অসহযোগিতা এবং বন্ড সুবিধার অপব্যবহারসহ ইত্যাদি কারণে বিআইএন লক করা হয়। লাইসেন্সধারীরা শুল্কমুক্ত উপকরণের আওতায় কাঁচামাল আমদানি করে পণ্য তৈরি করে তা রফতানি করছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য বন্ড অফিসগুলোর রফতানি ও আমদানির তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা অনেক ব্যবসায়ী আছেন কাঁচামাল আমদানি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। এতে একদিকে বন্ড লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘন করছে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্বের ক্ষতি করছে।
এ বিষয়ে কমিশনার মো. শওকত হোসেন বলেন, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে এটা আমাদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
বন্ড কমিশনারেট অফিসের দেওয়া তথ্যানুসারে ২১ মার্চ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৫৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিআইএন লক করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানের মালিকদের অনুরোধ ও শর্ত না ভাঙ্গার প্রতিশ্রুতে প্রায় ৩০০ লাইসেন্সধারীর বিআইএন আনলক বা খুলে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে প্রত্যক্ষ রফতানিকারক ও লক করা বিআইএন নম্বরসহ সাত হাজারের বেশি বন্ড লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০০ বন্ড লাইসেন্সে প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বর্তমানে ব্যবসায় সক্রিয় নেই।
আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পরিচালনাসহ ব্যবসার যাবতীয় কর্মকাণ্ডে একটি সক্রিয় বিআইএন নম্বর দরকার হয় ব্যবসায়ীদের।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।