প্রকাশিত : রবিবার ২৩মার্চ, ২০২৫খ্রিষ্টাব্দ।। ৯ই চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বসন্ত কাল)।। ২২ রমজান, ১৪৪৬ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : টাকা পয়সা জীবনে বেঁচে থাকার একটি অপরিহার্য অংশ। স্বাভাবিক জীবনে এর প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার উপায় নেই। অর্থ মানুষ উপার্জন করে, আবার ব্যয় করে। নিজের উপার্জিত সম্পদ দিয়ে মানুষ নিজের এবং অন্যদের প্রয়োজন মেটায়। অতিরিক্ত টাকার ভাণ্ডার, কারও হাতে থাকে না। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজন পূরণের যৎসামান্য উপকরণ। এ পরিস্থিতিতে মানুষ এগিয়ে আসে মানুষের কল্যাণে।
اَلشَّیْطٰنُ یَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَ یَاْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَآءِ وَ اللهُ یَعِدُكُمْ مَّغْفِرَةً مِّنْهُ وَ فَضْلًا وَ اللهُ وَاسِعٌ عَلِیْمٌ.
শয়তান তোমাদেরকে দরিদ্রতার ভয় দেখায় ও কৃপণতার আদেশ করে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও দয়ার কথা দিচ্ছেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। -সূরা বাকারা (২) : ২৬৮
আয়াতটির মধ্যে আল্লাহ তায়ালা সরাসরি বুঝিয়ে দিয়েছেন। মানুষ যখন দান করতে চায়, শয়তান তখন তাকে দারিদ্রতার ভয় দেখায়। নানা বিষয় তার সামনে তুলে ধরে তাকে দান থেকে বিরত চেষ্টা চালায়। দান করলে নিজের সম্পদ চলে যাবে অন্যের হাতে, এতে সম্পদ কমে যাবে। শয়তান ফাঁদ পেতেই মানুষকে দানের অফুরন্ত নেকি থেকে বঞ্চিত রাখার চেষ্টা করে। অপরদিকে আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের এ ফাঁদের কথা জানিয়ে দিচ্ছেন, এর পাশাপাশি নিজে দয়া করার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। আল্লাহ যদি কাউকে দয়া করেন, তার আর ভয় কীসের!
আল্লাহ তায়ালা রিযিক সম্পর্কে পবিত্র কুরআন মাজিদে বলেছেন-
قُلْ اِنَّ رَبِّیْ یَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ یَّشَآءُ مِنْ عِبَادِهٖ وَ یَقْدِرُ لَهٗ وَ مَاۤ اَنْفَقْتُمْ مِّنْ شَیْءٍ فَهُوَ یُخْلِفُهٗ وَ هُوَ خَیْرُ الرّٰزِقِیْنَ.
হে নবী আপনি বলে দিন, নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক স্বীয় বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা রিযিক বাড়িয়ে দেন, (যাকে ইচ্ছা) কমিয়ে দেন। আর তোমরা যা কিছুই দান কর, তিনি তার জায়গায় অন্য কিছু দিয়ে দেন। আর তিনিই তো শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা। -সূরা সাবা (৩৪) : ৩৯
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জোর দিয়েই বলেছেন-
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَا مِنْ يَوْمٍ يُصْبِحُ الْعِبَادُ فِيهِ إِلاّ مَلَكَانِ يَنْزِلاَنِ فَيَقُولُ أَحَدُهُمَا اللّهُمّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا وَيَقُولُ الآخَرُ اللّهُمّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا.
প্রতিদিনই দুজন ফেরেশতা নেমে আসেন। তাদের একজন দোয়া করেন- আল্লাহ! যে দান করে তাকে আপনি আরও দিন। অপরজন দুআ করেন- আল্লাহ! যে ধনসম্পদ আঁকড়ে ধরে রাখে, তার সম্পদ ধ্বংস করে দিন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৪৪২
তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন কিছু না কিছু দান করা। দান পরিমাণে যত ছোটই হউক না কেন আল্লাহর কাছে সেটা অনেক বড়।
আমরা হযরত আবু বকর (রা:) এর তাবুক যুদ্ধের দানের কথা স্মরণ করতে পারি। সাহাবাদের জন্য তিনি ছিলেন মুক্তহস্ত, উদার। তাবুকের যুদ্ধে তিনি তাঁর সমস্ত সম্পদ দান করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন: “তোমার পরিবারের জন্য কি রেখে এসেছ?’’ তিনি তখন উত্তর দিয়েছিলেন: ‘‘তাদের জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই যথেষ্ট।”
তাই আমরা যতটুকু পারি, আল্লাহর রাস্তায় দান করি, যদি সে দান গণনা করার মত নয়। আল্লাহ তায়ালা বান্দার সম্পদ, সৌন্দর্য কিছুই দেখেন না, শুধু বান্দার অন্তরটা দেখেন।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর– আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন– বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor
email – bikrampurkhobor@gmail.com