পাকিস্তানি বাহিনীর আনা সাংবাদিকই গণহত্যার তথ্য ফাঁস করেছিলেন

0
7
পাকিস্তানি বাহিনীর আনা সাংবাদিকই গণহত্যার তথ্য ফাঁস করেছিলেন

প্রকাশিত: শুক্রবার,১৭  ডিসেম্বর ২০২১ইং।। ৩রা পৌষ  ১৪২৮ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)।। ১২ জামাদিউল আউয়াল ১৪৪৩ হিজরী।।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক :  ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল। তত্কালীন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পয়লা বৈশাখের আগের দিন। যদিও ঢাকার রাস্তাঘাটে সে বছর চৈত্রসংক্রান্তি উদযাপন বা বর্ষবরণ উৎসবের কোনো আমেজ ছিল না। চারপাশে শুধু গণহত্যার চিহ্ন। এমনই এক সময়ে কলম্বো থেকে আগত এক ফ্লাইটে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে নামলেন পাকিস্তানি সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস।

এ অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের প্রতিবেদন থেকেই পরবর্তী সময়ে বিশ্ববাসী জানতে পারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার কথা। যদিও সংবাদমাধ্যমে নিজেদের ভাবমূর্তি উদ্ধারের তাগিদ থেকে পাকিস্তানি সামরিক জান্তাই নিজেদের খরচে তাকে এখানে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকের দায়িত্বশীলতার জায়গাটিকে ত্যাগ করতে পারেননি অ্যান্থনি মাসকারেনহাস। এজন্য তাকে স্বদেশও ছাড়তে হয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার রক্তচক্ষু এড়িয়ে কৌশলে লন্ডন চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দ্য সানডে টাইমসে ‘জেনোসাইড’ শিরোনামে প্রকাশিত তার প্রতিবেদন বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সপক্ষে গড়ে ওঠে বিশ্ব জনমত।

এ প্রতিবেদনের কারণে নিজ দেশে আর কখনই ফিরতে পারেননি তিনি। শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময়টি নয়, এর পরও বিদেশে বসেই পাকিস্তানের মানবাধিকার, পরমাণু কর্মসূচিসহ আরো অনেক বিষয় নিয়েই বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন তিনি। আমৃত্যু নির্বাসিত জীবন কাটিয়েও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সাহসী ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার কালটিতে পাকিস্তান ছিল সামরিক স্বৈরশাসনের থাবায় পর্যুদস্ত। এমনকি পশ্চিম পাকিস্তানের সংবাদকর্মীদের জন্যও সময়টি ছিল দুঃসহ। শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে স্বাধীন সাংবাদিকতা চালানো ছিল মুশকিল। বরং অনেক কিছুই ছাপতে হতো সামরিক শাসকদের ফরমায়েশ অনুযায়ী। এর পরও পূর্ববঙ্গের কিছু পত্রপত্রিকায় স্বাধীন সাংবাদিকতার চর্চা চলছিল ঠিকই। কিন্তু ২৫ মার্চের পর সে রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া বিদেশী সাংবাদিকদেরও এখান থেকে বের করে দেয়া হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাদের যাবতীয় কাগজপত্র, ছবির ফিল্ম ও ফাইলপত্র।

তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই ইয়াহিয়া খানের সামরিক জান্তা অনুভব করে, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করা জরুরি। একই সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানিদেরও দেখাতে হবে— পূর্ববঙ্গের পরিস্থিতি এখনো সরকারের অনুকূলেই রয়েছে। স্বাধীনতাকামীদের দমন করা গিয়েছে।

এজন্য ইয়াহিয়া খানের পিআর ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানের নামকরা কয়েকটি পত্রিকার আট সাংবাদিককে ঢাকায় উড়িয়ে আনা হয়। তাদেরই একজন করাচিভিত্তিক মর্নিং নিউজের সহকারী সম্পাদক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস। এসেই ঢাকা পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন তিনি।

ঢাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও দোকানপাট তখন বিধ্বস্ত। থমথমে শহরের বুকে অপারেশন সার্চলাইটের দগদগে ঘা। সড়কগুলোয় প্রাণচাঞ্চল্য নেই। শুধু সেনা কনভয়, ব্যারিকেড ও তল্লাশি চৌকির বাড়াবাড়ি। ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে ইকবাল হলের (বর্তমানে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ছাদে দেখতে পান চার শিক্ষার্থীর গলিত মরদেহ। হলের গোটা ভবন দেয়ালে দেয়ালে বুলেটের চিহ্ন। এ দৃশ্য দেখে মাসকারেনহাসের সঙ্গে আগত আরেক সাংবাদিক তাকে বলেছিলেন, যে পাকিস্তানকে আমরা চিনতাম, তার অস্তিত্ব এখন আর কোথাও নেই।

মাসকারেনহাস ও অন্যদের ঢাকা থেকে কুমিল্লায় নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। সেখানে গিয়ে তার মনে হয়, প্রাণচঞ্চল কুমিল্লা শহরের অধিবাসীদের সবাই যেন হঠাৎ করে উধাও হয়ে গিয়েছে। বিধ্বস্ত শহরের আকাশে শুধু উড়ে বেড়াচ্ছে হূষ্টপুষ্ট শকুন। রাতে সার্কিট হাউজ ভবনের ময়দান থেকে ভেসে আসছিল নির্যাতনের শিকার বাঙালিদের আর্তচিত্কার।

স্তম্ভিত মাসকারেনহাস দেখতে পান পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো ধরনের অনুতাপ নেই। বরং বাঙালিদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞের বিষয়টি তারা বেশ গর্বভরেই বলছিল। সেখানেই তাদের মুখে পূর্ববঙ্গকে উর্দুভাষী প্রদেশে পরিণত করার পরিকল্পনার কথা শুনতে পান তিনি।

মাসকারেনহাসসহ আট সাংবাদিককে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। সবখানে একই দৃশ্য। বাংলাদেশে ১০ দিন থাকার পর তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় করাচিতে। মাসকারেনহাস বাড়ি ফেরেন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অবস্থায়। বাংলাদেশের দৃশ্যপট ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৈতিক অধঃপতনের আঘাত তখনো সামলে উঠতে পারেননি তিনি। বাড়ি ফিরে স্ত্রী ইয়েভন্নিকে সব খুলে বলেন তিনি।

পরের কয়েকদিন মাসকারেনহাসের সহযাত্রী অন্য সাংবাদিকরা ব্যস্ত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ফরমায়েশি প্রতিবেদন প্রকাশের কাজে। সেসব প্রতিবেদন ছাপাও হয়। এর প্রতিটিতেই বলা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি এখন শান্ত’। ভুয়া সাজানো ছবিসহ প্রতিবেদনগুলোয় দাবি করা হয়, এখানকার স্থানীয়রা পাকিস্তানের পতাকা দুলিয়ে দুলিয়ে সেনাবাহিনীকে স্বাগত জানিয়েছে।

অন্যদিকে মাসকারেনহাস ছিলেন দোটানায়। তার সামনে কয়েকটি পথ খোলা ছিল। প্রথম পথ ছিল, সত্য প্রকাশ করা। কিন্তু সেক্ষেত্রে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তাকে হত্যা করার আশঙ্কা ছিল প্রবল। এমনকি তার পরিবারের ওপর অমানুষিক নির্যাতনেরও আশঙ্কা ছিল। দ্বিতীয় আরেকটি পথ ছিল, সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে অন্য কোনো পেশা বেছে নেয়া। তবে মাসকারেনহাস তখনই এ দুটোর কোনোটিতে না গিয়ে তৃতীয় পথ বেছে নিলেন। পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

এ এক সিদ্ধান্তই তার জীবন বদলে দেয়। লন্ডনে অবস্থানরত বড় বোন অ্যানের কাল্পনিক অসুস্থতার কথা বলে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার চোখে ধুলো দেন তিনি। লন্ডনে গিয়ে দেখা করেন সানডে টাইমসের সম্পাদক হ্যারল্ড ইভান্সের সঙ্গে। যেকোনো সংবাদের সম্ভাবনা ধরতে পারার এক সহজাত গুণ ছিল শ্রমজীবী শ্রেণী থেকে উঠে আসা হ্যারল্ড ইভান্সের। এর ওপর ভর করেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।

শুনেই মাসকারেনহাসের বক্তব্যের সত্যতা অনুধাবন করতে পারেন হ্যারল্ড ইভান্স। কিছুদিন আগেও তার ছোটভাই ইসলামাবাদের ব্রিটিশ হাইকমিশনের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। সে সময় তার ছোটভাইও তাকে জানিয়েছিলেন, পূর্ববঙ্গে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চলছে বলে কূটনৈতিক মহলে গুজব রয়েছে।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে হ্যারল্ড ইভান্সের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় মাসকারেনহাস ও তার পরিবারকে নিরাপদে পাকিস্তান থেকে বের করে আনা। এ নিয়ে পরিকল্পনার ভিত্তিতে মাসকারেনহাস লন্ডন থেকে স্ত্রী ইয়েভন্নিকে সাংকেতিক এক টেলিগ্রাম পাঠান। টেলিগ্রাম পেয়েই সন্তানদের নিয়ে পাকিস্তান ছাড়ার জন্য গোছগাছ শুরু করে দেন ইয়েভন্নি। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার মনে যাতে কোনো সন্দেহ না হয়, সেজন্য মাসকারেনহাস নিজে ফিরে যান পাকিস্তান। স্ত্রী ইয়েভন্নি ও সন্তানদের রওনা করিয়ে দেন রোমের দিকে। জিজ্ঞাসুদের কাছে তার উত্তর ছিল, রোমে আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে তারা। রোম বিমানবন্দর থেকেই লন্ডনের ফ্লাইটে উঠে বসলেন ইয়েভন্নি ও তার সন্তনেরা। অন্যদিকে মাসকারেনহাসের পক্ষে তখন এত সহজে দেশত্যাগ করা সম্ভব ছিল না। সদ্য যুক্তরাজ্য ঘুরে আসায় সামরিক জান্তার জারীকৃত আদেশের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগে তার পক্ষে পাকিস্তানের বাইরে যাওয়া সম্ভব ছিল না। এ অবস্থায় করাচি থেকে পেশোয়ারের ফ্লাইট ধরলেন তিনি। সেখান থেকে হেঁটে গোপনে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পৌঁছলেন আফগানিস্তানের কাবুলে। কাবুল থেকে সরাসরি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের ফ্লাইট ধরলেন তিনি।

মাসকারেনহাস ও তার পরিবারকে নিরাপদে পাকিস্তানের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পুরো খরচ বহন করেছে সানডে টাইমস কর্তৃপক্ষ। ১২ জুন লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হলেন অ্যান্থনি মাসকারেনহাস। পরদিনই প্রকাশ হয় মাসকারেনহাসের দুনিয়া কাঁপানো প্রতিবেদন ‘জেনোসাইড’।

৯ হাজার ৪৭ শব্দের এ প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে গোটা বিশ্ব। পাকিস্তানি সামরিক জান্তার যাবতীয় প্রোপাগান্ডা নিমেষে ব্যর্থ হয়ে পড়ে। দর্শকের ভূমিকা থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সরব হয় বিশ্ববাসী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় গণহত্যার অভিযোগ।

ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও পরে হ্যারল্ড ইভান্সকে বলেছিলেন, মাসকারেনহাসের প্রতিবেদনটি তাকেও নাড়া দিয়েছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তুতিও এর ভিত্তিতেই নেয়া শুরু করেছিলেন তিনি।

স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের পর মাসকারেনহাসকে চিরশত্রু ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। নিজ দেশে আর কখনই ফিরতে পারেননি তিনি। এমনকি পরে এ নিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছেন তিনি। পরে এক সাক্ষাত্কারে মাসকারেনহাস বলেছেন, আমি মনে করি না পাকিস্তানের প্রতি আমার কোনো আনুগত্য নেই। যদিও অনেকে তা-ই মনে করে থাকেন। কিন্তু পাকিস্তান ছাড়াটা আমার জন্য খুব একটা সহজ ছিল না।

মাসকারেনহাস পাকিস্তান ছাড়লেও দেশটির বিভিন্ন জায়গায় তার খবরের উৎস ও পরিচিতি ধরে রাখেন তিনি। ১৯৭৯ সালে তিনিই প্রথম ফাঁস করেন পাকিস্তান পারমাণবিক বোমা বানাচ্ছে। শুধু তাই নয়; দেশটির প্রায় অখ্যাত পরমাণুবিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদির খান অন্য কয়েকটি দেশকে এ পারমাণবিক বোমার প্রযুক্তি পেতে সহায়তা করছেন, সে বিষয়টিও প্রথম তিনিই বিশ্ববাসীকে জানিয়েছিলেন।

১৯৮৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অনুসন্ধানী ও সাহসী সাংবাদিকতার জন্য আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি পুরস্কারও পেয়েছেন অ্যান্থনি মাসকারেনহাস।

অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস

নেভিলে অ্যান্থনি মাসকারেনহাস (ইংরেজি: Neville Anthony Mascarenhas; জন্ম: ১০ জুলাই, ১৯২৮ – মৃত্যু: ৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৬) দক্ষিণ এশিয়ার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক ছিলেন। তাঁর পুরো নাম নেভিল অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস। তিনি ভারতের গোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং পড়াশোনা করেন পাকিস্তানের করাচিতে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় তিনি বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও অন্যান্য ঘটনা পর্যবেক্ষণপূর্বক বিশ্ববাসীর কাছে সর্বপ্রথম উন্মোচিত করেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে লিখেন যা বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তুলতে সাহায্য করেছিল। এ বিষয় নিয়ে তিনি বইও লিখেছেন। তিনি ব্রিটেনের দ্য সানডে টাইমস পত্রিকায় ১৪ বছর কাজ করার পর ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে জীবন অতিবাহিত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..     

   (বিজ্ঞাপন)  https://www.facebook.com/3square1          

   ‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।

আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

   Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com

আমাদের পেইজ লাইক দিন শেয়ার করুন। 

      

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন