প্রকাশিত : বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০ ইং ।। ১৬ বৈশাখ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।। ৫ রমজান ১৪৪১
বিক্রমপুর খবর : কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু, মুন্সীগঞ্জ থেকে : দেশে আলু সংরক্ষণের মৌসুম চলছে। ঠিক এই সময়ে করোনা সংক্রমণ রোধে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে মুন্সীগঞ্জের হিমাগারে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে আনা যাচ্ছে না আলু। আসতে পারছেন না শ্রমিকরাও। এ অবস্থায় জেলার ৭৪টি হিমাগারের ৪০ শতাংশ ফাঁকা পড়ে আছে। পরিবহন বন্ধ ও শ্রমিক সংকটের কারণে এখানকার হিমাগার মালিকদের আটশ’ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে।
প্রতিবছর মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের শুরুতেই হিমাগার মালিকরা আলু সংরক্ষণে ব্যস্ত থাকলেও এবার সেই চিত্র পাল্টে গেছে। পরিবহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে আলু নিয়ে হিমাগারগুলোতে আসতে পারছে না কেউ। ফলে এ পর্যন্ত ৬০ ভাগ আলু সংরক্ষণ করা সম্ভব হলেও এখনও হিমাগারের ৪০ ভাগ জায়গা খালি পড়ে আছে। এতে জেলার ৭৪টি হিমাগার মালিকপক্ষকে ৮০০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে বলে মনে করছেন তারা। এ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থার উদ্যোগের অংশ হিসেবে সড়কে আলু বহন করা পরিবহন চলাচলের সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন পুস্তি জানান, সংরক্ষণ মৌসুমের এ সময়ে করোনা আতঙ্কের কারণে অস্বাভাবিক আলু কিনছে ক্রেতারা। ফলে বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে। এ কারণে বাড়তি দামে কিনে আলু সংরক্ষণে আগ্রহ কম ব্যবসায়ী ও কৃষকের। আবার যেসব কৃষক ও ব্যবসায়ী বাজার থেকে কিছু সংগ্রহ করতে পেরেছেন, তারা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নানা বাধার মুখে পড়ছেন। তিনি জানান, এখনই সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব না হলে বছরব্যাপী চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না।
সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, আলু সংরক্ষণে সারাদেশে ৪২৯টি হিমাগারের মধ্যে ৪০০টির মতো চালু রয়েছে। এগুলোতে ৫৫ লাখ টন আলু সংরক্ষণ করার সুযোগ আছে। এবার ৩৬ লাখ টন আলু সংরক্ষণ হবে বলে মনে করছেন সংগঠনের নেতারা। সংরক্ষণ মৌসুমের অর্ধেক সময়ে এ পর্যন্ত ৬০ ভাগ আলু হিমাগারে এসেছে। এখনও হিমাগারগুলোর ৪০ ভাগ ফাঁকা। তাই কোটি কোটি টাকা লোকসানের দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হিমাগার মালিকরা।
মিরকাদিম এলাকার আলী কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার আব্দুল গফুর কাজী জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে পরিবহন বন্ধ থাকায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে আনতে পারছেন না।