প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৫ মে ২০২০ ইং ।। ২২বৈশাখ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।। ১১ রমজান ১৪৪১
বিক্রমপুর খবর : মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ,মাওয়া থেকে : করোনা ভাইরাসের বিশেষ এ সময়ে পরিবর্তিত কর্মপদ্ধতিতে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ। আগে প্রতিদিন ৩ শিফটের পরিবর্তে বর্তমানে কাজ চলছে ২ শিফটে। কাজের অগ্রগতি ধরে রাখতে প্রকল্পের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে সব স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা করা হলেও সেটা পিছিয়ে যাচ্ছে আগামী নভেম্বর মাসে।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর কাজ। কর্মপদ্ধতিতে পরিবর্তন। পিছিয়ে গেল জুলাইয়ের সব স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা।
বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু। বদলে যাওয়া এ সময়ে যেখানে অনেকটা থমকে আছে দেশের সব মেগা প্রকল্পের কাজ, সেখানে সীমিত পরিসরে হলেও চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাজ। দেশে যেকটি প্রকল্পে বিদেশিরা কাজ করছে, তার মধ্যে সবচে বেশি চীনের নাগরিক কাজ করেন পদ্মা সেতুতে। তাই দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার বেশ আগে থেকেই এ প্রকল্পের কাজে সমস্যা শুরু হয়। গত জানুয়ারি মাসে নববর্ষ উদযাপন করতে চীনের নাগরিকরা দেশে যাওয়ার পর ফিরতে সমস্যায় পড়েন। পরে অনেকে দেশে ফেরার পর কোয়ারেন্টাইন কাটিয়ে কাজে যোগ দিলেও দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশীয় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করে। তাদের মধ্যে অনেকে ছুটিতে চলে যাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে কাজে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের শ্রমিকের সংখ্যা কিছু কমে গেছে। এবং কলসালটেন্ট স্টাফও কিছু কমে গেছে। যার কারণে আমরা তিন শিফটে কাজ করতে পারছি না। এখন দুই শিফটে কাজ চলছে। এ অবস্থায় পাল্টে নিতে হয়েছে অনেক পরিকল্পনা। কর্মীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে স্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা। কাজের গতিও কমে এসেছে। তাই পরিকল্পনায় থাকলেও এখন আর জুলাই মাসের আগে সব স্প্যান বসানো সম্ভব নয়। চলতি মাসে দুটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের।