পদ্মা সেতুর অব্যবহৃত জমিতে খামার করতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্মারক সই

0
42
পদ্মা সেতুর অব্যবহৃত জমিতে খামার করতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্মারক সই
প্রকাশিত:শুক্রবার,২৫ অক্টোবর ২০১৯ ইং ।। ১০ই কার্ত্তিক ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর :অনলাইন ডেস্ক: পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অব্যবহৃত জমিতে খামার নির্মাণ করবে সেনাবাহিনী। এই ‘কম্পোজিট মিলিটারি ফার্মে’ দুধ ও মাংস উৎপাদন করা হবে।
বুধবার রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ,সেতু বিভাগের বিদায়ী জ্যেষ্ঠ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম,পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম, সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস প্রমুখ। চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে সই করেন সেনা সদরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. মামুন অর রশিদ এবং সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো. রেজাউল হায়দার।
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়,পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রায় আড়াই হাজার একর জমি খালি হবে। এ জমি অব্যবহৃত থাকবে। প্রকল্পের ৫, ৬, ১২ ও ১৩ নম্বর ব্লকের ২ হাজার ১৫৮ একর জমি ব্যবহারের অধিকার সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা হয়েছে সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন,সেতু নির্মাণের পর যে জমি অবশিষ্ট থাকবে,তা সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী সেখানে যে খামার নির্মাণ করবে,তা থেকে প্রতিদিন ৬০ হাজার লিটার দুধ পাওয়া যাবে। বছরে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার কেজি মাংস উৎপাদন করা হবে। এতে দেশে আমিষের ঘাটতি পূরণ হবে। এই খামারের মাধ্যমে কৃষকের মাঝে ভবিষ্যতে উন্নত জাতের গরু,মহিষ,ছাগলের বীজ বিতরণ করা হবে।
জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন,সরকার সেনাবাহিনীর ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে দায়িত্ব দিয়েছে, তা যথাযথভাবে পালন করা হবে।
“প্রকল্পে ৭০ হাজার প্রাণির একটি ডেইরি ফার্ম থাকবে। প্রতিদিন আনুমানিক সেখান থেকে ৫০ হাজার লিটার থেকে ৬০ হাজার লিটার দুগ্ধ উৎপাদন করা হবে। বিফ ফার্ম থেকে প্রতি বছর আনুমানিক ৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি গরুর মাংস উৎপাদিত হবে।”
বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হওয়ায় এই ছাগলের জাত ধরে রাখতে এই খামারে একটি ‘গোট ফার্ম’গড়ে তোলা হবে।
আরও বলেন,কম্পোজিট মিলিটারি ফার্মে একটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। সেখানে ষাঁড়, গরু,মহিষ ও ব্ল্যাক বেঙ্গলের সিমন সংগ্রহ করে অন্যান্য মিলিটারি ফার্ম এবং বাংলাদেশের কৃষক ও খামারিদের কাছে কমদামে বিক্রি করা হবে। সার্বিকভাবে ডেইরি ফার্ম,বিফ ফার্ম,ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট ফার্ম, মহিষ ফার্ম ও ব্রিডিং সেন্টারে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন