প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০ইং ।। ২৩শে আষাঢ় ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।
বিক্রমপুর খবর : লৌহজং প্রতিনিধি : পদ্মা নদী পানি হঠাৎ বেড়ে গিয়ে প্লাবিত লৌহজংয়ে দুটি গ্রামের শতাধিক বাড়ি-ঘর। পদ্মা তীরে কোন বাধ না থাকায় পদ্মার পানি বেড়ে রাতে হঠাৎ পানিতে প্লাবিত হয়েছে। একই দিনে মাওয়া থেকে কান্দিপাড়া দশলদিয়া গ্রামে চলাচলের বিকল্প সড়কটি পানি ওঠায় ভাঙনের মুখে রয়েছে।করোনা মহামারি কালে এমন অবস্থা ফলে এলাকাবাসী দিশেহারা। আজ সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মেদেনীমনডল গ্রামে আমিন মোহাম্মদ গ্রূপের একটি জমি রয়েছে,সে জমি এখন পানির নিচে।
জানা যায় পদ্মা নদীর পাড়ে যদি সরকারি ভাবে বাধ নির্মাণ করে দিতে, অথবা থাকতে তা হলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের বাড়ি -ঘরে পানি ডুকতে পারতে না।গত ২৮জুন এলাকা দুটিতে প্রথম পানি প্রবেশ করে।হঠাৎ শতাধিক বাড়ি -ঘর প্লাবিত হয়।মাওয়া মশলদিয়া ভাগ্যকুল সড়ক পানি উঠেগেছে।গত কয়েক দিনে ক্রমাগত পানি বেড়ে রাস্তা ভেঙ্গে যানবাহন চলাচল বিগ্নিত হচ্ছে।এভাবে চলতে থাকলে, অবশেষে পায়ে হাটার পথ থাকবে না এবং বন্ধ হয়ে যেতে পারে পারে সবরকম চলাচল বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী।
স্বানীয় বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে তাদের বাড়ি সামনে রাস্তায় সুড়কি ও বালুর বস্তা ফেলে নিজ বাড়ি রাস্তা রক্ষার চেষ্টা করছেন।স্বানীয় বাসিন্দা মো: সেন্টু শেখ বলেন বন্যা নেই অথচ বন্যার মতো পানি ডুকে পড়েছে বাড়ি – ঘরে।আরেক বাসিন্দা মো:বাবুল বলেন, মাএ ১০০ফুট জায়গা বাধ দিলে এলাকায় পদ্মার পানি ঢুকতে পারতোনা।শতাধিক পরিবারের বাড়ি -ঘর রক্ষা করা যেত। প্রশাসেনের কাছে ত্রাণ অথবা সাহায্য চাই না। স্বায়ী বাধের জন্য অনুরোধ।
লৌহজংয়ে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ২৪ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও জানায়, মাওয়ায় ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পদ্মা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের জনপদগুলো প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। দ্রুত পানি আসার কারণে আমন ধানসহ বহু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। পদ্মার পানিতে স্রোত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তাই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..