পদ্মার ইলিশের জিন বিন্যাসে স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ -আরেকটি সাফল্য যুক্ত হলো

0
17

প্রকাশিত:রবিবার,০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ::বিক্রমপুর খবর:: অনলাইন ডেস্ক :
ইলিশ নিয়ে আরেকটি সাফল্য যুক্ত হলো বাংলাদেশের। ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির পর এবার ইলিশের জীবনরহস্য উদ্ঘাটনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশি গবেষক দল উদ্ভাবিত পদ্মার ইলিশের জিন বিন্যাস বা জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্বখ্যাত জার্নাল বায়োমেড সেন্ট্রাল (বিএমসি) প্রকাশ করেছে। লন্ডনভিত্তিক জার্নালটিতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়।

ইলিশের জিনতত্ত্বের ওপর কাজ করা বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিএমসিতে বাংলাদেশের গবেষণাটি সবার আগে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টিকে অনন্য গৌরব বলে মনে করছেন গবেষকেরা।

প্রকাশিত জার্নালে গবেষক হিসেবে নাম এসেছে প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা খান,অধ্যাপক মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম,অলি আহমেদ,অভিজিৎ দাস, তাসনিম এহসান,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইলিশ গবেষক এম নিয়ামুল নাসের,নিউজিল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী আবদুল বাতেন,যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও নিউক্লিওটাইড রসায়ন বিভাগের প্রধান ড.মং সানু মারমা এবং পিটার ইয়ানাকিভের।

গবেষণাটি প্রকাশিত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে অধ্যাপক হাসিনা খান জানান,বিভিন্ন ধাপ ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ এই স্বীকৃতি পেল।প্রকাশনার আগের প্রক্রিয়া হিসেবে উদ্ঘাটন বিষয়ক সমস্ত তথ্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জিন ব্যাংক ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে (এনসিবিআই)জমা দিতে হয়েছে।জিন ব্যাংক সেসব তথ্য যাচাই বাছাই করেছে,অনুসন্ধান করেছে।তাদের তথ্য যাচাই শেষ হওয়ার পর প্রকাশনার জন্য সবকিছু বিএমসিতে দিতে হয়েছে।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশের এ উদ্ভাবন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। জানার্লটিতে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার থাকায় যে কেউ বাংলাদেশের গবেষণা সম্পর্কে পড়তে পারবেন, জানতে পারবেন। ভবিষ্যতে ইলিশ সম্পর্কিত যেকোনো গবেষণায় বাংলাদেশের গবেষণালব্ধ তথ্য ব্যবহার করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন