নতুন বছরের প্রত্যাশা

0
0
নতুন বছরের প্রত্যাশা

প্রকাশিত : সোমবার, ১ জানুয়ারি ২০২৪ ইং।। ১৭ পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (শীত কাল)।। ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৫ হিজরি।।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক :ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে খসে পড়লো আরেকটি বছর। সোনালি অতীত পেছনে ফেলে নতুন প্রত্যয়ে আবারও দুঃখ-সুখের হিসেব মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন আপামর মানুষ। কতোটুকু অপ্রাপ্তি ছিল বিগত বছরে? আর ২০২৪ এ প্রত্যাশার ঝুলি কতোটুকুই বা পূর্ণ হবে- তা নিয়ে আশা-নিরাশার আবর্তনে স্বপ্নচারীরা। বিগত বছরের অনেক কথা, ঘটনা, ইতিহাস, ভালো-মন্দ ঘটে যাওয়া অনেক কিছু ছিল স্মৃতি হিসেবে। অতীত ইতিহাসের একটি বছর বাংলাদেশের জনগণের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। ইতিহাস হয়ে থাকবে নানা ঘটনার পরিসমাপ্তি। মানুষের সুখ-দুঃখ, শান্তি-অশান্তি, পারিবারিক-সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা ঘটনায় জর্জরিত ছিল বাঙালি জাতির জন্য ২০২৩ সাল। ছাত্রদের মধ্যে হতাশা, শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে নানা ধরনের টেনশন আর জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নানা স্বপ্ন তাদের জীবনে এক অস্থির সময় তৈরি করেছে ২০২৩ সাল।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই শুধু নয়- নতুন বছরে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি আর মানবিক বাংলাদেশ চায় যুবসমাজ। ক্ষয়ে যাওয়া মূল্যবোধ আর বিপর্যস্ত নৈতিকতা ফেরানোর স্বপ্নও দেখে নতুন প্রজন্ম। পরমতসহিষ্ণুতার পাশাপাশি প্রগতিশীল শিক্ষা জোরদারের দাবি বিশেষজ্ঞদের।

গেল ২০২৩ ছিল দূর স্বপ্ন কাছে আসার বছর। কাঙ্ক্ষিত অনেকগুলো প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করেছে এ বছরেই। অবকাঠামোর পাশাপাশি অর্থনীতির সাফল্যে বেড়েছে জনসন্তুষ্টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিস সিদ্দিক বলেন, “উন্নয়নের সাথে সাথে এখন মনোজাগতিক উন্নয়ন ও মনোজাগতিক স্তরের বিকাশ বেশি প্রয়োজন।”

সর্বস্তরে বৈষম্য দূরীকরণ, বাজারব্যবস্থা, শিক্ষা ও সেবাখাতের সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ নজর দেয়ার পরামর্শ বিশিষ্টজনের। আ আ ম স আরেফিস সিদ্দিক বলেন, “দেশকে যতোটা বেশি পারা যায় একটা সমঝোতা-সাম্যের রাষ্ট্রে পরিণত করা। এমন কিছু উদাহরণ সৃষ্টি করবেন যেখান থেকে আমাদের নবীন প্রজন্ম শিক্ষা লাভ করতে পারে।”

সৃজনশীলতা, বৃদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ এবং ভিন্নমতকে গুরুত্ব দেয়ার দাবি সাধারণের।গৃহিনী তাসনিম মাহমুদ বলেন, “আমিই দেশ, আমি যদি ভালো থাকি তাহলে আমার কাজটাও ভালো হবে, যখন কাজ ভালো হবে তখন আমার দেশের উন্নতি হবে।”

সমৃদ্ধ জীবনের পাশাপাশি উদারনৈতিক রাষ্ট্রকাঠামো আর অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেন শিক্ষার্থীরা। ঢাবি শিক্ষার্থী প্রীতম আদিত্য রায় বলেন, “এখন আমরা সহমর্মী নই, অন্যের মতকে সহ্য করতে পারিনা। এ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।”বায়ান্ন বছর বয়সি রাষ্ট্রের কাছ থেকে যতোটুকু প্রত্যাশা ছিল তা অধরাই থেকে গেছে বহু মানুষের।

ভাস্কর মুক্তি ভৌমিক বলেন, “আইন আমরা নিজেরাই মানছিনা। যেদিন এই ট্রাফিক নিয়ম বা আইনটা নিজেরা মানবো সেদিনই আসলে একটা সভ্য জাতিতে পরিণত হবো।” অর্থনেতিকভাবে দেশ এগোলেও মানুষের মনুষত্ব বিলোপ হচ্ছে দিন দিন। নতুন বছরে মানবিক গুণসম্পন্ন রাজনীতিকদের উত্থান ঘটবে। যাদের হাত ধরে পরিবর্তন হবে রাষ্ট্রকাঠামো- আশা বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের।    

(বিজ্ঞাপন)  https://www.facebook.com/3square1

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..             

   ‘‘আমাদের বিক্রমপুরআমাদের খবর

আমাদের সাথেই থাকুনবিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com

আমাদের পেইজ লাইক দিন শেয়ার করুন।       

জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন