ঢাকার আইসিইউতে করোনা রোগী বাড়ছে

0
11
ঢাকার আইসিইউতে করোনা রোগী বাড়ছে

প্রকাশিত:শনিবার,৭ নভেম্বর ২০২০ইং ।। ২২শে কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)।। ২০শে রবিউল আউয়াল,১৪৪২ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের প্রাক্কালে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোয় জটিল রোগীর সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। শূন্য শয্যার চেয়ে রোগীভর্তি শয্যার সংখ্যা বাড়ছে। তবে রাজধানী বাদে সারা দেশের আইসিইউ’তে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ফাঁকা শয্যা বেশি। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা-বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, করোনা রোগীদের শতকরা ৮০ শতাংশের মধ্যে মৃদু লক্ষণ দেখা দেয়। তাদের হাসপাতালে যেতে হয় না। বাকি ২০ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশের উপসর্গ তীব্র হয় এবং হাসপাতালে যেতে হয়। বাকি পাঁচ শতাংশের অবস্থা থাকে জটিল, তাদের আইসিইউ বেডের পাশাপাশি দরকার হয় ভেন্টিলেটরের।

দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম তিন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই রোগী শনাক্তের হার চলে যায় ২০ শতাংশের ওপরে, চলতে থাকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে এর পর থেকে শনাক্তের হার কমতে থাক। প্রায় এক মাসের বেশি সময় থেকেই শনাক্তের হার ১০ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে ছিল। তবে গত ২ নভেম্বর রোগী শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশে।

সংক্রমণের মাঝের সময় জুন-জুলাইয়ের দিকে আইসিইউ না পেয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাও গণমাধ্যমে এসেছে। তার পর থেকে সংক্রমণের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের আইসিইউ শয্যা এবং সাধারণ শয্যা ফাঁকা থাকা শুরু হয়। শয্যা ফাঁকা থাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনেক করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল কমিয়ে আনে।

তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর হাসপাতালগুলোয় আইসিইউতে রোগীর সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, ঢাকা মহানগরীতে থাকা হাসপাতালগুলোর মধ্যে করোনার প্রথম ডেডিকেটেড হাসপাতাল বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ১৬টি আইসিইউ বেডের মধ্যে রোগী রয়েছেন ১৪টিতে, ফাঁকা দুটি; ৫০০ শয্যার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০টি বেডের ১০টিতেই রোগী রয়েছেন; ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৪টি বেডের মধ্যে রোগী আছেন ১৭টিতে, ফাঁকা সাতটি; ৫০০ শয্যার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৪টি বেডের মধ্যে রোগী আছেন ১২টিতে, ফাঁকা দুটি; রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫টির মধ্যে রোগী আছেন ১২টিতে, ফাঁকা তিনটি; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি বেডের মধ্যে রোগী আছেন আটটিতে, ফাঁকা আটটি; ২৫০ শয্যা শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬টির মধ্যে রোগী আছেন সাতটিতে, ফাঁকা ৯টি; আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০টি বেড থাকলেও রোগী আছেন ছয়জন, ফাঁকা চারটি; সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ছয়টি বেডের চারটিতে রোগী আছেন, ফাঁকা দুটি; আসগর আলী হাসপাতালের ৩৬টি বেডের ২০টিতে রোগী আছেন, ফাঁকা ১৬টি; স্কয়ার হাসপাতালের ২৫টি বেডের ১৮টিতে রোগী আছেন, ফাঁকা সাতটি; ইবনে সিনা হাসপাতালের ছয়টি বেডের ছয়টিতেই রোগী আছেন; ইউনাইটেড হাসপাতালের ২২টির মধ্যে রোগী আছেন ১২ জন, ফাঁকা ১০টি; এভার কেয়ার হাসপাতালের ২০টির মধ্যে রোগী আছেন ১৮ জন, ফাঁকা দুটি; ইম্পালস হাসপাতালের ৫৬টি বেডের মধ্যে রোগী আছেন আটজন, ফাঁকা ৪৮টি; এএমজেড হাসপাতালের ১০টি বেডের মধ্যে রোগী আছেন সাতজন, ফাঁকা তিনটি এবং বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ১২টি আইসিইউ বেডের সবগুলোতেই রোগী রয়েছেন।

মোট ৩১৪টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে রোগী আছেন ১৯১ জন, আর ফাঁকা রয়েছে ১২৩টি বেড। তবে সারা দেশে করোনা রোগীদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) রয়েছে ৫৬৪টি। এর মধ্যে রোগী আছেন ১৭৩ জন, আর ফাঁকা রয়েছে ২৯১টি বেড।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..

‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন