প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার,৩ অক্টোবর ২০১৯ ইং ।। ১৮ই আশ্বিন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর :টংগিবাড়ী প্রতিনিধি : উজান হতে ঢলের অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি আর তীব্র স্রোতের কারনে টঙ্গীবাড়ীতে পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে।
একদিকে ভাঙন অপরদিকে বৃষ্টি!এর ফলে ভাঙন কবলিতদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ভাঙন কবলিতরা অন্যত্র তাদের বসতঘর সড়িয়ে নিতে বিপাকে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড়, হাইয়ারপাড়, সরিষাবন,বড়াইল,ভাঙ্গনিয়া, বাগের পার, দশত্তর, বাগবাড়ি, চৌসাড় এলাকায় উজান হতে ঢলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোতের কারনে নদী ভাঙন দ্বিগুন বেড়েছে। ভাঙন কবলিতরা রাস্তার পাশে উন্মুক্ত আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। ভাঙনে শুধু হাইয়ারপাড় গ্রামের সুজ্জত আলী বেপারী, সায়েদ হালদার, নুরুল হক হালদার, আ.খালেক শেখ, ইদ্রিস হালদার,করিম হালদার, রহিম হালদারসহ ২০টি পরিবারের বাড়ি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।হাইয়ারপার জামে মসজিদটি যে কোনো সময় নদী গর্বে বিলীন হয়ে যাবে।
হাইয়ারপাড় গ্রামের খালেক শেখের একটি বসতঘর মুহূর্তেই পদ্মা গর্বে বিলীন হয়ে গেছে বলে ওই গ্রামের বাসীন্দারা জানান।
এ ব্যাপারে কামারখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হালদার জানান,গত কয়েক বছর যাবত পদ্মা নদী ভাঙনের ফলে কামারখাড়া ইউনিয়নের বিলেরপাড়, বড়াইল, বাগবাড়ি, ভাঙ্গনিয়া গ্রামের অনেক পরিবারের ঘর বাড়ি হারিয়ে এখন সর্বশান্ত।এই এলাকার শত শত একর আবাদী জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
দিঘীরপাড় বাজারের নদীর ওপাড়ে চরাঞ্চলের আবাদী কৃষি জমি পদ্মা গর্বে চলে যাচ্ছে।বিগত দুই যুগ ধরে থেমে থেমে ভাঙার কারনে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ও হাসাইল ইউনিয়নের ৯০ শতাংশ এবং পাচঁগাওঁ ও কামারখাড়া ইউনিয়নের ৫০ শতাংশ পদ্মা গর্বে বিলীন হয়ে গেছে। বিগত ১০ বছর আগে পাচগাওঁ ও হাসাইল অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বাধ নির্মাণ করা হলে ওই অংশে ভাঙন হ্রাস পেলেও কামারখাড়া দিঘীরপাড় অঞ্চলে স্থায়ীভাবে কোন বাধ নির্মাণ না হওয়ায় এই অঞ্চলে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।ভাঙন রোধে এ বছর দিঘিরপাড় ও কামারখাড়া ইউনিয়নের পদ্মা তীরে বেশ কিছু বালু ভর্তি জিএ ব্যাগ ফেলানো হলেও গত কয়েকদিন যাবৎ স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার এসব এলাকায় অতিরিক্ত ভাঙন শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভূতু জানান,ভাঙন রোধে বর্ষার শুরুতে বেশ কিছু বালু ভর্তি জিএ ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। স্থায়ীভাবে এ অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাব ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে।