প্রকাশিত : বুধবার,২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং ।। ৮ই আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)।। ৫ই সফর, ১৪৪২ হিজরী
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : ঝালকাঠির আলোচিত জেএমবির হাতে নিহত পিপি অ্যাড হায়দার হোসাইন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ৫ জঙ্গীর সাজা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। দুজন বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও শাহেদ নুরুউদ্দিন সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্সের মৃত্যুদণ্ড সাজা বহাল নেখেছেন।
সাজা প্রদানকারী ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ডেথ রেফারেন্সর আদেশের কপি প্রেরণ করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ৫ জঙ্গীর মধ্যে মো. মুরাদ হোসেন, আবু শাহাদাত মো. তানভীর ওরফে মেহেদি, ওরফে আবির, ওরফে মুশকিন ও আমিনুল ওরফে আমির হোসেন জেল হাজতে রয়েছে। অপর দুজন মো. বেল্লাল হোসেন ও ছগির হোসেন ভুইয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় ঝালকাঠি কবরস্থান মসজিদের গেটের সামনে বসেই পিপি অ্যাড হায়দার হোসাইনকে জেএমবির এই জঙ্গীরা কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হায়দার হোসাইন গুলিবিদ্ব হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি প্রতিদিনের ন্যায় বাসার সামনে এই মসজিদে নামাজ পড়তে আসতেন। ৫ জঙ্গী ঘটনা ঘটিয়ে আলাদা হয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে র্যাব এই ৩জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে।
ঝালকাঠিতে দুজন বিচারক হত্যর মামলাটি বিচারকালিন সময় তিনি পিপি অ্যাড হায়দার হোসাইন তৎকালিন পিপি হিসাবে মামলাটি সরকারের পক্ষে পরিচালনা করেন। বিচারক হত্যা মামলায় জেএমবির শীর্ষ নেতাসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়। অ্যাড হায়দার হোসাইন জেলা জামায়াত নেতা ছিলেন এবং এই মামলা পরিচালনা করায় জেএমবি তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। হত্যা করে তাদের পরিকল্পনা এই ৫ জঙ্গি বাস্তবায়ন করে। এর পূর্বে তাকে জেএমবি হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।
পিপি অ্যাড হায়দার হোসাইন হত্যা মামলায় তাঁর ছেলে তারিক ইবনে হায়দার বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৫ জন কর্মকর্তা তদন্ত করেন এবং সর্বশেষ সিআইডির এস আই মোসাররফ হোসেন ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি ৫ জনকে অভিযুক্ত কারে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বরিশালের দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর আসামিদের বিরদ্ধে চার্জ গঠন করে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্রাইবুনাল বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আদালত থেকে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার শেষ করার জন্য প্রেরণ করা হয়।
এই আদালতের তৎকালিন বিচারক মো. আব্দুল হালিম ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রæ্য়াররি ৫৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ৫ জনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত জেএমবির জঙ্গী মো. মুরাদ হোসেন খুলনা সহরের টুটপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেনের পুত্র। আবু শাহাদাত তানভীর বরগুনা জেলার বান্দরগছিয়া গ্রামের আব্দুর রহিম আকনের ও আমিনুল ওরফে আমির হোসেন ঢাকার উত্তরখানের চামুরখান এলাকার মো. বশিরউদ্দিনের পুত্র। পলাতক ছোগির হোসেন বরগুনার উজির পুর গ্রামের মৃত সামসুদ্দিন ভুইয়া ও মো. বেল্লাল হোসেন বরগুনার তালতলি উপজেলার ছোটবগি এলাকার সফিজউদ্দিন হাওলাদারের পুত্র। মো. বেল্লাল হোসেন ঝালকাঠি শহরের একটি মসজিদে ইমামতি করতো।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor
আপনার আশেপাশে সাম্প্রতিক খবর পাঠিয়ে দিন email – bikrampurkhobor@gmail.com