প্রকাশিত : বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪, খ্রিষ্টাব্দ।। ০১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ(শরৎকাল )।। ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি।
বিক্রমপুর খবর : গজারিয়া প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ২১ দফা দাবিতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন জে এম আই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। আন্দোলনের কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৮টায় কাজে যোগ না দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে ১৫শ’ বেশি শ্রমিক। এ সময় কোম্পানির পক্ষ থেকে কয়েকজন আন্দোলনককারীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে তাদেরকে ধাওয়া দেয় শ্রমিকরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হন।
জানা যায়, বিভিন্ন কারণে কোম্পানিটিতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। এর মধ্যে গত ১০ অক্টোবর কোম্পানি কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। শ্রমিকদের দাবি, সেদিন সরকারি ঘোষণা উপেক্ষা করে বন্ধের দিন কারখানা খোলা রাখা এবং একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ছুটি না দিয়ে তার সাথে উল্টো খারাপ আচরণ করা হয়। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তাকে হাসপাতালে না নিয়ে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। অসুস্থ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় মারা যায় সেই শ্রমিক। এই ঘটনায় রাগে ফেটে পড়ে শ্রমিকরা। এরপর থেকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা।
আন্দোলনকারী শ্রমিকদের মধ্যে ইয়াসিন ও হালিম মিয়া বলেন, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করে তা অমানবিক। সরকারি নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা করে না তারা। জোর করে শ্রমিকদের ওভারটাইম করতে বাধ্য করা হয়। অসুস্থ হলে হাসপাতালে যেতে দেওয়া হয় না। বিভিন্ন কারণে বাধ্য হয়ে ২১ দফা দাবি নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। আমাদের কাজ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়ার সময়ের ভেতরে নির্দিষ্ট পরিমাণ কাজ না করতে পারলে বেতন কাটা হয়। সরকারি ছুটি এমনকী ঈদের সময়ও আমরা ছুটি পাই না। এরকম অমানবিক নিয়ম অন্য কোনো কোম্পানিতে আছে কিনা আমরা জানি না। দীর্ঘদিনের সঞ্চিত ক্ষোভে আজ আমরা বাধ্য হয়ে পথে নেমেছি।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর পর আমরা ছুটে আসি। মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি আমরা। শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আমি তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি, প্রয়োজনে তাদের পক্ষে আমি মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ন্যায্য দাবিগুলো আদায় করে দেওয়ার চেষ্টা করব। কিন্তু তারা আমার কথা শুনছে না।’
এ সম্পর্কে জানতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মাসুম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি কথা বলার অবস্থায় নেই। আমাদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি।’
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থলে আসেন গজারয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের তিনি মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তাদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন।
(বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor