কার্গো জাহাজের ধাক্কায় শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯

0
11
কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় মামলা চিহ্নিত হয়নি সেই কার্গো

প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১এপ্রিল২০২১ইং।। ১৮ই চৈত্র  ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)।।  ১৮ শা’বান ১৪৪২হিজরী

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ নগরীর শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া এমভি সাবিত আল হাসান লঞ্চটি দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা পর শীতলক্ষ্যা নদীর ৩৫ ফুট গভীর থেকে ক্রেন দিয়ে টেনে তীরে তুলে আনে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চের গীজারম্যানসহ বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়। এসময় লঞ্চের ভেতরে আটকে থাকা ২২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রবিবার রাতে ডুবুরিরা লঞ্চ থেকে আরো পাঁচ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে লঞ্চ থেকে পাঁচ শিশু, ১৮ নারী ও ৮ জন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা।

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। রবিবার রাত থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে রাত ৩টার দিকে বন্ধ করে দেয়া হয়।

আজ সোমবার সকাল ৮টায় পুনরায় উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী ও নৌ-পুলিশ ও উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় উদ্ধার তৎপরতা চালায়।

রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে শীলতলক্ষ্যার দুপাড়ের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। সোমকার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া সাবিত আল হাসান লঞ্চটি টেনে তীরে তোলার পর একে একে মৃতদেহ ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর ডুবুরিরা বের করে নিয়ে আসে।

লঞ্চ ডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও বিআইডব্লিউটিএ পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এছাড়াও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস, প্রত্যক্ষদর্শী, নৌ-পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট থেকে থেকে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের উদ্দ্যোশে ছেড়ে যায় এমভি সাবিত আল হাসান লঞ্চটি। যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার পথে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লা ঘাট-মদনগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছে এসকে-৩ নামে বড় আকৃতির একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি আকস্মিকভাবে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া লঞ্চে প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা। এর মধ্যে ২০ জন যাত্রী সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযানে নামে বিআইডব্লিউটিএ, নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈরি আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে বাধা গ্রস্থহয়। খবর পেয়ে রাত থেকেই নদীর তীরে স্বজনরা ভিড় জমাতে থাকে। নিহতের স্বজনরা মরদেহের খোঁজে কেউ কেউ ট্রলার ও নৌকা যোগে ডুবে যাওয়া লঞ্চের কাছে গিয়ে স্বজনদের খোঁজার চেষ্টা করে। কেউ কেউ নদীর উভয় পাড়ে স্বজনদের অপেক্ষোয় বসে থাকেন। রাত ৮টার দিকে দুঘটনাস্থলে ছুটে আসে উদ্ধারতকারী জাহাজ প্রত্যয় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..             

   ‘‘আমাদের বিক্রমপুরআমাদের খবর

আমাদের সাথেই থাকুনবিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন