করোনা-ঝড়ে তছনছ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,২৪ ঘণ্টায় ৮৮৪ মৃত্যু,মহামারী নিউ ইয়র্কে

0
17
করোনা-ঝড়ে তছনছ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,২৪ ঘণ্টায় ৮৮৪ মৃত্যু,মহামারী নিউ ইয়র্কে

প্রকাশিত : শুক্রবার, ৩ এপ্রিল ২০২০ ইং ।। ২০ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।

বিক্রমপুর খবর :অনলাইন ডেস্ক :হপকিনস ইউনিভার্সিটির রিপোর্ট বলছে, বৃহস্পতিবারের হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৫,১১৬।

করোনা ঝড়ে বিধ্বস্ত মার্কিন মুলুক। লকডাউনেও রোখা যাচ্ছে না মৃত্যু। সংক্রমণ যেন মহামারী। দু’দিন আগেও যে সংখ্যাটা তিন হাজারে থেমেছিল, গত ২৪ ঘণ্টায় তাই ছুঁল পাঁচ হাজার। সংক্রমণে নতুন মৃত্যুর সংখ্যা ৮৮৪।

জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির রিপোর্ট বলছে, বৃহস্পতিবারের হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৫,১১৬। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। মোট সংক্রামিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ১৫ ৪১৭ জনে। বিশ্বে এখনও অবধি করোনা সংক্রমণের নিরিখে ইতালি, স্পেনকে ছাপিয়ে গেছে আমেরিকা। ফি দিন বাড়ছে মৃত্যু।

আমেরিকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা যখন হানা দিয়েছে মার্কিন মুলুকে, তখনই সতর্কতা মানা হয়নি। নিরুদ্বেগে ছিল হোয়াইট হাউসও। সামাজিক মেলামেশাতেও লাগাম পরানো হয়নি। তারই জেরে সংক্রমণ মহামারী হয়ে দেখা দিয়েছে মার্কিন মুলুকে। গত রবিবারই মার্কিন গবেষক অ্যান্থনি ফৌসি বলেছিলেন, মার্কিন নাগরিকরা সচেতন না হলে মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়াতে পারে।

এর মাঝেই মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন,  “আগামী দু’সপ্তাহ খুবই যন্ত্রণাদায়ক হতে চলেছে। এখন জীবন-মরণের প্রশ্ন। ’’ করোনা সংক্রমণের মোকাবিলা করার জন্য টাস্ক ফোর্সও তৈরি করেছেন ট্রাম্প।

নিউ ইয়র্কের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে একা নিউ ইয়র্ক পেরিয়ে গিয়েছে গোটা চিনকে। নিউ ইয়র্কে এখন আক্রান্ত ৮৩,৭১২। মৃত্যু ছাড়িয়েছে হাজার দুয়েক। ক্রমেই ভাইরাস সংক্রমণের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠছে নিউ ইয়র্ক সিটি। জরুরি বিভাগ, আইসিইউ সব জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে হুহু করে। স্যানিটাইজ করার লোকও মিলছে না। ইতিমধ্যেই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে দু’জন নার্সের। মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে আক্রান্ত অনেক ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরা।

করোনা-ঝড়ে তছনছ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,২৪ ঘণ্টায় ৮৮৪ মৃত্যু,মহামারী নিউ ইয়র্কে

আমেরিকান কলেজ অব এমার্জেন্সির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম পি জ্যাকিস বলেছেন, “শহরের সব জায়গায় ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের অবস্থা সঙ্কটজনক। আর কিছুদিনের মধ্যেই হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলিতে রোগী রাখার জায়গা পাওয়া যাবে না। চিকিৎসার জন্য থাকবেন না ডাক্তার-নার্সরা। কী ভয়ানক সময় আসতে চলেছে সেটা বুঝতে পারছে না সরকার।”

নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র বিল-দে ব্লাসিও আগেই বলেছিলেন, নিউ ইয়র্কের পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। বরং সংক্রমণ বেড়েই চলেছে পাল্লা দিয়ে। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থার অভাবও রয়েছে। মেয়রের কথায় এমন চলতে থাকলে  খুব দ্রুত ফুরিয়ে যাবে ভেন্টিলেটর, হাই-ফ্লো অক্সিজেন মাস্ক। মিলবে না সার্জিক্যাল মাস্কও। তারপর রয়েছে আইসোলেশন বেডের ঘাটতি। শহরের সব হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড বানানোর মতো সরঞ্জাম নেই। যে কটা আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে তাদেও বেডের সংখ্যা কম। মেয়রের দাবি, আক্রান্তদের চিকিৎসা সেভাবে করা যাচ্ছে না। তাছাড়া সংক্রমণ সন্দেহে আসা রোগীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টারও কম রয়েছে। এমন সঙ্কট চলতে থাকলে আরও বেশি মানুষ মরবে নিউইয়র্কে।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন