কবি ওমর খৈয়ামের প্রয়াণ দিবস আজ

0
2
কবি ওমর খৈয়ামের প্রয়াণ দিবস আজ

প্রকাশিত : বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, খ্রিষ্টাব্দ।। ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ(হেমন্তকাল)।। ১ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরী।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : প্রখ্যাত ইরানি কবি, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ ওমর খৈয়াম ১০৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৭ মে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

পারস্য এই মহাকবির পুরো নাম গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইব্রাহিম আল খৈয়াম নিশাপুরি। ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করার পর ওমর খৈয়াম যুবক বয়সে সমরখন্দে চলে যান এবং সেখানে শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এরপর বুখারায় নিজেকে মধ্যযুগের একজন প্রধান গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।

ওমর খৈয়াম শুধু কবিই ছিলেন না, মধ্যযুগের একজন প্রধান গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ ছিলেন। ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারেও তার অবদান রয়েছে। তিনি বীজগণিতের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘ট্রিট্রিটজ অন ডেমোনস্ট্রেশন অব প্রবলেম অব অ্যালজেব্রা’ লিখেছেন। একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি জালালি ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করেন। এটি সুনির্দিষ্ট ৩৩ বছরের চক্রের একটি সৌর ক্যালেন্ডার। এটি পরে বেশ কয়েকটি ক্যালেন্ডার তৈরির ভিত্তি হয়ে ওঠে।

১১৩১ খ্রিস্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ওমর খৈয়াম।নিশাপুরে ওমরের সমাধি দেখতে অনেকটা তাঁবুর মতো। তার কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা সেখানে উৎকীর্ণ করা আছে।

প্রতিবছর জাতীয় ওমর খৈয়াম দিবস উদযাপনে নিশাপুরে কবির সমাধিতে সাহিত্যিক ও পণ্ডিতরা সমবেত হন। এছাড়া দেশ ও দেশের বাইরে বহু স্থানে দিবসটি পালন করা হয়। সূত্র: মেহর নিউজ এজেন্সি।

ওমর খৈয়াম। সুদূর পারস্যের কবি হলেও কাজী নজরুলের মাধ্যমে মৃত্যুর ৮৮৮ বছর পরও বাঙালির হৃদয়ে দোর্দণ্ড-প্রতাপে বেঁচে আছেন তিনি। গত শতকের ত্রিশের দশকে বাংলা ভাষায় তার অমর কাব্য রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম অনুবাদ করতে শুরু করেন নজরুল। আর এর মাধ্যমে বাঙালিও বিশদভাবে পরিচিত হয় পারস্যের এ কবির সঙ্গে। ১১৩১ সালের ৪ ডিসেম্বর ৮৩ বছর বয়সে ইরানের নিশাপুরে মৃত্যুবরণ করেন এ কবি।

ওমর খৈয়ামের সম্পূর্ণ নাম গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইব্রাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। পঞ্চম শতকের শেষের দিকে ইরানের নিশাপুর শহরে তার জন্ম। একাধারে তিনি ছিলেন প্রেম ও বিরহের কবি, গণিতবিদ, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। আসলে ওমর খৈয়াম নিজ যুগে মূলত গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ হিসেবেই খ্যাত ছিলেন এবং নিজেও তাই মনে করতেন। এ ছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞানী হিসেবেও তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন।

ওমর খৈয়াম সম্পর্কে ফিজরেন্ড বলেছেন ‘কবিতা না লিখলে তিনি হয়তো গণিতজ্ঞ হিসেবেই অমর হয়ে থাকতেন।’ ওমর খৈয়াম তার বিখ্যাত ‘রুবাইয়াত’-এর জন্যই বিশ্বসাহিত্যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এ জাতীয় এক হাজারেরও বেশি কবিতা তিনি রচনা করেছেন। তবে অনেকেই মনে করেন, ওমর খৈয়ামের অবদান সবচেয়ে বেশি বীজগণিতে। তিনিই প্রথম এর সমীকরণগুলোর শ্রেণিবিন্যাসের চেষ্টা করেন। জ্যামিতির সমাধানে বীজগণিত আর বীজগণিতের সমাধানে জ্যামিতি পদ্ধতি তারই অভূতপূর্ব আবিষ্কার। আজ থেকে প্রায় এক হাজার বছর আগে বীজগণিতের যেসব উপপাদ্য এবং জ্যোতির্বিদ্যার তত্ত্ব ওমর খৈয়াম দিয়ে গেছেন, সেগুলো এখনও গণিতবিদ এবং মহাকাশ গবেষক ও জ্যোতির্বিদদের গবেষণায় সূত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..           

‘‘আমাদের বিক্রমপুরআমাদের খবর

আমাদের সাথেই থাকুনবিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com

আমাদের পেইজ লাইক দিন শেয়ার করুন

জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor

email – bikrampurkhobor@gmail.com

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন