প্রকাশিত:শনিবার,১১ অক্টোবর ২০১৯ ইং ।। ২৬শে আশ্বিন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।। বিক্রমপুর খবর ডেস্ক :
বাংলাদেশে ১/১১ -এর পর সংস্কারবাদী নেতারা শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে টার্গেট করে মাইনাস টু ফর্মুলা দিয়েছিল। তবে এটি ছিল মূলত শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে নির্বাসিতে করার ষড়যন্ত্র।
এ লক্ষ্যে শেখ হাসিনার দেশে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মইনুদ্দিন- ফখরুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শেখ হাসিনা সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন। অত:পর তাকেই প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজনীতির মাঠে নামানো হয় নোবেল জয়ী ড. ইউনূসকে। ইউনূস সাহেব অবিলম্বে রণভঙ্গ দিয়ে ঘরে ফিরে যান। সংস্কারবাদী নেতারা দল ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হন।একটানা তৃতীয়বার তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
তার আমলে বিপুল উন্নয়ন, মাথাপ্রতি আয় প্রায় দুই হাজার ডলারে উন্নীত হওয়া, শিক্ষার বিস্তার, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সফল্য, দারিদ্র্য বিমোচন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গডে্ ওঠা, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ, নিজ অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট প্রেরণ এবং জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন শেখ হাসিনাকে এনে দিয়েছে বিপুল জনপ্রিয়তা।
এক জরিপে দেখা যায় তিনি দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা পেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্খান করছেন।
এতসব সাফল্য সত্ত্বেও বাংলাদেশে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন সকল সীমা ছাডিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী এখন জাতিকে সেই দুর্নীতি- দুর্বৃত্তায়নের অভিশাপ থেকে মুক্তির দৃঢ্ সংকল্প ঘোষণা করেছেন।
আমি মনে করি রাজনীতিকে দুর্নীতিবাজদের কবল থেকে মুক্ত করা এবং অর্থনীতিকে দুর্বৃত্তেদর কবল থেকে মুক্ত করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযান কাংঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারবেনা।আমি বিশ্বাস করি, একমাত্র শেখ হাসিনাই পারবেন দুর্নীতি- দুর্বৃত্তের কলঙ্ক থেকে দেশকে মুক্ত করতে।
এই লক্ষ্য অর্জনে আমার টু মাইনাস ফর্মুলা হচ্ছে:
১) রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলো থেকে দুর্নীতিবাজ-দুর্বৃত্তদের মাইনাস করতে হবে;
২) আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং প্রশাসন থেকে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ- দুর্বৃত্তদের মাইনাস করতে হবে।
উল্লিখিত লক্ষ্য অর্জন করতে হলে কেবল গ্রেপ্তার-বহিষ্কারই যথেষ্ট নয়। এর জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার।
সংস্কার একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং গভীর প্রক্রিয়া। অবিলম্বে সংস্কার বাস্তবায়ন এবং বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি।
এই দুই লক্ষ্য অর্জনে সমাজের সকল সৎ। সংস্কারবাদী দেশপ্রেমিক মেধা সম্পন্ন মানুষকে কাজে লাগাতে হবে।
[লেখাটি ড. নূহ–উল–আলম লেনিনের ফেসবুক থেকে সংগৃহিত]।
ড. নূহ–উল–আলম লেনিন: রাজনীতিবিদ, কবি, লেখক ও গবেষক। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য।